(বাঁ দিকে) ডিকে শিবকুমার এবং সিদ্দারামাইয়া (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
কর্নাটকে কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্বে কি বদল আসবে? সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানান, এ ব্যাপারে শেষ সিদ্ধান্ত নেবে হাইকমান্ড। তাদেরই জল্পনার অবসান ঘটাতে হবে!
গত কয়েক দিন ধরেই কর্নাটক কংগ্রেসের অন্দরে ঢামাঢোল চলছে। কর্নাটকের অধুনা উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে দলের অন্দরেই। দিল্লিতে কর্নাটকের কংগ্রেস বিধায়কদের একাংশ দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করার কর সেই জল্পনা আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ওই বিধায়কদের দাবি, ২০২৩ সালে সিদ্দারামাইয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করার সময় কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, আড়াই বছর পর মুখ্যমন্ত্রী করা হবে শিবকুমারকে। অর্থাৎ, পাঁচ বছরের মুখ্যমন্ত্রিত্ব সমান ভাবে ভাগ করে দেওয়া হবে দুই নেতার মধ্যে। সেই ‘প্রতিশ্রুতির সম্মান’ রাখার দাবি তুলেছেন শিবকুমার-ঘনিষ্ঠেরা। ঘটনাচক্রে, অক্টোবরেই মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আড়াই বছরের মেয়াদ পূর্ণ করেছেন সিদ্দারামাইয়া। সে ভাবে দেখলে এ বার শিবকুমারের পালা।
প্রশ্ন ওঠে, তা হলে কি এ বার মুখ্যমন্ত্রিত্ব হারাতে চলেছেন সিদ্দারামাইয়া? যদিও তাঁর দাবি, এ ব্যাপারে তিনি কিছু বলতে চান না। যা বলার বলবেন শীর্ষ নেতৃত্ব। শিবকুমার অবশ্য জানান, দলের মধ্যে কোনও দল গঠন করা তাঁর রক্তে নেই। সিদ্দারামাইয়া গোটা ঘটনা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশও করেন। তাঁর দাবি, এ নিয়ে ‘অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের’ সৃষ্টি করা হচ্ছে।
সিদ্দারামাইয়া জানান, রদবদলের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে হাইকমান্ড। তিনি এ-ও মনে করিয়ে দেন, কর্নাটকের মন্ত্রিসভায় দু’টি পদ এখনও খালি রয়েছে। তা দ্রুত পূরণ করার প্রয়োজন। সেই কারণে পুরো বিষয়টিই শীর্ষ নেতৃত্বের কাঁধে ছেড়ে দিয়েছেন।
তবে জল্পনা শুধু শিবকুমারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। কর্নাটকের মন্ত্রী শিবানন্দ পাটিল থেকে সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বরও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে আছেন।