National News

‘আমার অপরাধটা কোথায়?’ বিজেপি-র দিকে আঙুল তুললেন সিধু

অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য দলকেই দায়ী করলেন নভজোৎ সিংহ সিধু। যে রাজ্যের মানুষ তাঁকে ভালবেসে সংসদে পাঠিয়েছে, সেই পঞ্জাব থেকেই তাঁকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৫:৪১
Share:

সাংবাদিক বৈঠকে সিধু।

অবশেষে মুখ খুললেন তিনি। সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য দলকেই দায়ী করলেন নভজোৎ সিংহ সিধু। যে রাজ্যের মানুষ তাঁকে ভালবেসে সংসদে পাঠিয়েছে, সেই পঞ্জাব থেকেই তাঁকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে! এবং এক বার নয়, চার বার। বিজেপি-র বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনেছেন প্রাক্তন ওই ক্রিকেটার।

Advertisement

সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিধু বলেন, ‘‘আমাকে পঞ্জাব থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। আমি কী ভাবে আমার শিকড় ছেড়ে বেরিয়ে আসতে পারি?’’ তাঁর দাবি দলের তরফেই এই নির্দেশ তাঁকে দেওয়া হয়েছিল। সিধুর কথায়, ‘‘ভুল করে না হয় এক বার বলা যায়। তাই বলে চার বার! এটা তো কোনও ভুল নয়। আমি এটা নিতে পারিনি।’’

এ দিন সিধুর গলায় শুধু বিক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে। তাঁর দাবি, যখন দলের খারাপ সময় ছিল তখন সিধু সিধু করে আওয়াজ উঠেছে। আর এখন বলা হচ্ছে পঞ্জাবের দিকে তাকিও না। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘আমি কি কিছু অন্যয় করেছি? আমাকে অন্তত আমার দোষটা তো বলা হোক! কিছু মানুষের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য আমাকে কেন পঞ্জাবের বাইরে থাকতে হবে?’’

Advertisement

এর আগে গত সোমবার সংসদ ভবনে ঢুকেই সিধু জানিয়েছিলেন, পঞ্জাবের মানুষ বদল চাইছে। তার পরে ইস্তফাপত্র দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হামিদ আনসারির হাতে। এ দিন সেই সিধুই বলেন, ‘‘বিশ্বে কোনও রাজনৈতিক দলই পঞ্জাবের থেকে বড় নয়। পরিণতি যাই হোক না কেন, আমি তা মেনে নিতে তৈরি।’’ তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, পঞ্জাবে উন্নয়নমূলক কাজ করতে মাস তিনেক আগে প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু এই কয়েক মাসেই রাজ্যের উন্নতির জন্য প্রতিটি জানলাই তাঁর জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাই সাংসদ পদটি বোঝার মতো হয়ে উঠেছে। সেই বোঝা আর টানতে চাইছেন বলেই ইস্তফা পত্রে লিখেছিলেন প্রাক্তন ওই সাংসদ।

পঞ্জাবে এখন বিজেপি-অকালি সরকারের বিরুদ্ধে হাওয়া প্রবল। আপ সেখানে হু-হু করে ঢুকছে। অন্য দিকে, ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহের নেতৃত্বে কংগ্রেসও মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। এই অবস্থায় সিধুর দল ছেড়ে দেওয়াটা বিজেপিকে ভোগাতে পারে বলে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মত।

আরও খবর...

দিদি, আপনি মেনে নিন! মমতার মুখ চেয়ে পীযূষ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন