— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
আন্তর্জাতিক অনলাইন গেমিং নেটওয়ার্কের আড়ালে বড়সড় মাপের সিমকার্ড পাচার চক্রের হদিশ পেল দিল্লি পুলিশ! শনিবার দিল্লি পুলিশের বিমানবন্দর শাখা জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে এই সিম পাচারকারী চক্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। তার পর তিন মাস ধরে তল্লাশি চালিয়ে এই চক্রের সঙ্গে জড়িত পাঁচ জনকে মধ্যপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৯৮টি সক্রিয় ভারতীয় সিমকার্ড বিদেশে, মূলত দুবাইয়ে পাঠানোর ছক কষছিলেন অভিযুক্তেরা। তখনই সিমকার্ড-সহ হাতেনাতে তাঁদে ধরে ফেলে পুলিশ। তদন্তকারীদের সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল ৩-এর কাছে ভুয়ো সিম-সহ সিআইএসএফের হাতে ধরা পড়েন সুনীল রাওয়াত নামে এক যুবক। সুনীলকে জিজ্ঞাসাবাদের পরেই এই সিম পাচারের চক্রের কথা প্রকাশ্যে আসে। সে সময় দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা দিচ্ছিলেন সুনীল। তাঁর কাছ থেকে ৩৯৮টি সক্রিয় সিমকার্ড উদ্ধার হয়, যেগুলি আলাদা আলাদা নামে নথিভুক্ত ছিল। তদন্তে জানা যায়, সুনীল দুবাইয়ের বাসিন্দা ফয়জ়ল নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে কাজ করছিলেন, যিনি সিমকার্ড পাচারের বিনিময়ে তাঁকে নগদ ৩৫,০০০ টাকা এবং দুবাইয়ে স্থায়ী চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সুনীলের কাছ থেকেই মধ্যপ্রদেশের আরও কয়েক জনের এই চক্রে জড়িত থাকার কথা জানতে পারে পুলিশ।
সেই মতো তল্লাশি চালিয়ে সম্প্রতি অশ্বিন কুমার, অঙ্কিত কুমাওয়াত, মণীশ কুমার, লোকেন্দ্র সেন্ধব এবং দ্বারকা প্রসাদ নামে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত পাঁচ জনই মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনী এবং দেওয়াস জেলা থেকে অঙ্কিত এবং অশ্বিনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে দেওয়াস থেকে ধরা পড়েন বাকি তিন জন। তদন্তে জানা গিয়েছে, বিনামূল্যে নেট এবং কলের লোভ দেখিয়ে স্থানীয়দের বিভ্রান্ত করে সিমকার্ডগুলি সংগ্রহ করা হত। এর পর সেগুলি গেমিং অ্যাপে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি এবং অন্যান্য জালিয়াতির জন্য ব্যবহার করা হত। তবে দুবাইয়ের বাসিন্দা তথা সিম পাচার চক্রের ‘মূল মাথা’ ফয়জ়ল এখনও পলাতক। তাঁর খোঁজে তল্লাশি চলছে।