প্রতীকী ছবি।
এক মহিলাকে আটকানোর চেষ্টা করছেন পুলিশকর্মীরা। কিন্তু তাঁদের হাত ছাড়িয়ে সোজা পুলিশকর্তার গাড়ির দিকে ছুটলেন তিনি। মহিলাকে এ ভাবে আসতে দেখে গাড়ি থামান ডিআইজি। গাড়ি থেকে নামতেই তাঁকে মহিলা সরাসরি প্রশ্ন ছুড়ে দেন, ‘‘স্যর, ছ’জন মিলে আমাকে ধর্ষণ করেছে। তাদের কাউকে কি গ্রেফতার করা হয়েছে?’’
ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরের। মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পুলিশের দ্বারস্থ হয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে দাবি নির্যাতিতার। তাই শেষমেশ ডিআইজির অফিসে হাজির হন তিনি। অভিযোগ, সেখানে তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু ডিআইজির সঙ্গে দেখা না করে তিনি এক পা-ও নড়বেন না বলে স্থির করেন। ঠায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করেন ডিআইজির অফিসের সামনে।
বেশ কিছু ক্ষণ অপেক্ষার পর ডিআইজিকে যখন তিনি দেখতে পান, ছুটে তাঁর কাছে যাওয়ার চেষ্টা করেন নির্যাতিতা। কিন্তু আবার পুলিশকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন। মহিলা পুলিশকর্মীরা তাঁকে টেনেহিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনও রকমে তাঁদের হাত ছাড়িয়ে একছুটে ডিআইজির কাছে হাজির হন। এই পরিস্থিতি দেখে ডিআইজি নিজেই গাড়ি থেকে নেমে আসেন। জিজ্ঞাসা করেন কী হয়েছে। তখন নির্যাতিতা জানান, তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের কি গ্রেফতার করা হয়েছে? নির্যাতিতার কথা শুনে ডিআইজি উত্তর দেন, ‘‘চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দু’জন পলাতক। তাঁদের খোঁজ চলছে। খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।’’ এ কথা বলার পর নির্যাতিতাকে আশ্বস্তও করেন ডিআইজি। নির্যাতিতা যখন ডিআইজিকে জানান, স্থানীয় থানা কোনও পদক্ষেপ করছে না। সঙ্গে সঙ্গে ডিআইজি পুলিশকর্মীদের কাছে জানতে চান সার্কল অফিসার কে আছেন। তার পর এক পুলিশকর্মীকে বলেন, ‘‘সার্কল অফিসারকে ফোন করুন।’’ শুধু তা-ই নয়, একই সঙ্গে নির্দেশ দেন, এই মামলায় যেন দ্রুত পদক্ষেপ করে তাঁকে রিপোর্ট দেওয়া হয়।