India Pakistan Ceasefire

ক্ষণিকের ড্রোন-দর্শনের পরে আর কোনও বিঘ্ন ঘটেনি, রাতে শান্তই রইল ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত, নেই গোলাগুলির খবর

সোমবার রাতে জম্মুর সাম্বায় পাক সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় ড্রোন ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে বলে খবর ছড়ায়। ড্রোনের খবর শোনা যায় পঞ্জাবের জলন্ধরেও। যদিও সেনা জানিয়েছে, পরে তারা শত্রুপক্ষের আর কোনও ড্রোন এলাকায় দেখতে পায়নি।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৫ ০৮:১১
Share:

জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি। — ফাইল চিত্র।

সোমবার রাতে জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বায় পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় অল্প সংখ্যক কিছু ড্রোন ঘোরাঘুরি করছিল বলে খবর ছড়ায়। পঞ্জাবের জলন্ধরেও পাক সীমান্তবর্তী অঞ্চলে একই ধরনের খবর ছড়ায়। ভারতীয় সেনার তরফেও জানানো হয়, সন্দেহভাজন কিছু ড্রোনের গতিবিধি প্রতিহত করার চেষ্টা করছে নিরাপত্তা বাহিনী। তবে বেশি রাতের দিকে সেনা আবার জানিয়ে দেয়, পরে আর কোনও ড্রোন দেখা যায়নি। তার পর থেকে রাতভর শান্তই ছিল পরিস্থিতি। মঙ্গলবার সকালেও সাম্বায় দৃশ্যত স্বাভাবিক রয়েছে জনজীবন। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, গত রাতে সাম্বায় কিছু ড্রোন গতিবিধির খবর ছড়ালেও গুলি চলা বা গোলাবর্ষণের মতো কিছু ঘটেনি।

Advertisement

গত শনিবার বিকেলে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষবিরতির সমঝোতার পরেও সেই রাতে সংঘর্ষবিরতির অভিযোগ উঠেছিল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। তবে তা বেশি ক্ষণের জন্য স্থায়ী হয়নি। ভারতের বিদেশসচিব বিক্রম মিস্রী সাংবাদিক বৈঠক করে পাকিস্তানকে কড়া বার্তা দেওয়ার পরে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর অঞ্চল মোটের উপর শান্তই রয়েছে। তার পর রবিবার এবং সোমবার— টানা দু’রাত নতুন করে কোনও গোলাগুলির খবর নেই। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে জম্মুর কাটরায় আলো নিবিয়ে রাখা হয়েছিল। আলো নেভানো ছিল অমৃতসরেও। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, সাম্বা, কাঠুয়া, রাজৌরী এবং জম্মুতেও সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে আলো নিবিয়ে রাখা হয়েছিল। পঞ্জাবের অমৃতসর এবং হোশিয়ারপুর জেলার কিছু অংশেও আলো নিবিয়ে রাখা হয়। জলন্ধরের সুরানুস্সি এলাকাতেও কিছু অঞ্চল অন্ধকার করে রাখা হয়েছিল। যদিও সোমবার রাতে জলন্ধরের ডেপুটি কমিশনার হিমাংশু অগরওয়াল জানিয়েছেন, তখনও পর্যন্ত জলন্ধরের কোথাও ঘোষিত ‘ব্ল্যাকআউট’ ছিল না।

ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষবিরতির পর আজ তৃতীয় দিন। সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘাতের ধাক্কা কাটিয়ে জম্মু ও কাশ্মীরের জনজীবন ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার থেকে সীমান্তবর্তী জেলাগুলি বাদে জম্মু-কাশ্মীরের বাকি অঞ্চলের স্কুলগুলিও চালু হয়ে যাওয়ার কথা। তবে সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণরেখা লাগোয়া জেলাগুলিতে এখনও বন্ধ থাকছে স্কুলের পঠনপাঠন। রাতে সাময়িক ড্রোন-উদ্বেগের পর মঙ্গলবার সকালে সাম্বায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় বেরোতে শুরু করেছেন। রাস্তাঘাট সকালের দিকে ফাঁকা থাকলেও যাত্রীদের নিয়ে টোটো দেখা গিয়েছে। সংখ্যায় কম হলেও গাড়ি চলাচলও দেখা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement