পাকড়াও: নিয়ে যাওয়া হচ্ছে চিতাবাঘটিকে। গুরুগ্রামে। ছবি: পিটিআই।
চিতাবাঘের দাপাদাপিতে তটস্থ গৃহস্থালি। তাকে ধরার জন্য টানা পাঁচ ঘণ্টা ধরে হুলস্থুল পড়ে যায় বন দফতর কর্মী, গ্রামবাসী ও পুলিশের মধ্যে। দু’বার বিফল হয়ে তিন বারের বার চিতাবাঘটিকে বাগে আনতে সমর্থ হন বন দফতর কর্মীরা।
গুরুগ্রামের সোহনা এলাকার দুর্গা কলোনির ঘটনা। আজ সকাল ন’টা নাগাদ চিতাবাঘের কোপে প্রথম পড়ে লভ কুমার নামে ২৩ বছর বয়সী এক যুবক। বাড়ির দেওয়ালে আঁকাআঁকি করছিলেন তিনি। তখনই চিতাবাঘটি এসে তার মুখে আঁচড়ে দেয়। স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে। এর পরে পথ-চলতি এক ছ’বছরের শিশু এসে পড়ে তার সামনে। শিশুটি বুকে ও কাঁধে চোট পেয়েছে। এর পরে একটি বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়ে চিতাবাঘটি। সেখানেই পাঁচ ঘণ্টা আটকে ছিল চিতাবাঘটি।
চিতাবাঘটি প্রথমে নজরে আসে ওই বাড়ির এক সদস্যের। সিঁড়িতে দাঁড়িয়েছিল সে। আর পাশের ঘরেই টিভি দেখছিলেন ওই ব্যক্তি। সঙ্গে সঙ্গে তিনি পরিবারের লোকজনকে সর্তক করে দেন। তাঁরা সকলে একটি ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। ইতিমধ্যে বাড়ির বাইরে ভিড় জমে যায়। স্থানীয়রা ব্যস্ত হয়ে যান ভিডিও করতে, ছবি তুলতে। কেউ কেউ চিতাবাঘের সঙ্গে নিজস্বী তুলতেও শুরু করে দেন। বাড়ির কর্তা কামার পাল বলেন, ‘‘আমার স্ত্রী কাপড়-জামা কাচছিলেন। তার পিছু পিছু চিতাবাঘটি ঘরে ঢুকে পড়ে। খুব ভয় পেয়েছিলাম যে সবাই বেঁচে পালাতে পারব তো!’’
ভিডিওয় ধরা পড়েছে, পালানোর জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিল চিতাবাঘটি। সিঁড়ি থেকে সে দোতলায় উঠে আসে। কিন্তু তার পর বেরনোর আর পথ খুঁজে পাচ্ছিল না। তবে সে যাতে পালাতে না পারে তার জন্য বন দফতরের লোকজন বাড়িটি জাল দিয়ে মুড়ে দেয়। ফাঁদও পাতা হয়। শেষমেশ তিন বারের বার তাকে ঘুম পাড়ানির ওষুধ দিয়ে কব্জায় আনে বন দফতর কর্মীরা।