দম আটকে বিপর্যয়ের আশঙ্কা ছিল বিমানে

বড় বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করে সরাসরি বিমান মন্ত্রকের অধীন এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বুরো (এএআইবি)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:১১
Share:

ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে বিমানের কেবিন। ছবি: এক যাত্রীর টুইটার অ্যাকাউন্টের সৌজন্যে।

জয়পুর থেকে আসা ইন্ডিগোর একটি বিমানে ধোঁয়া বেরোতে থাকায় সোমবার রাতে সেটি কলকাতায় জরুরি অবতরণ করে। কিন্তু আর একটু দেরি হলেই আকাশে সেই বিমানের যাত্রীদের দমবন্ধ হয়ে বড়সড় বিপর্যয় ঘটতে পারত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

বড় বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত করে সরাসরি বিমান মন্ত্রকের অধীন এয়ারক্রাফ্ট অ্যাক্সিডেন্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন বুরো (এএআইবি)। ইন্ডিগোর বিমানের ওই ঘটনাতেও ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ)-এর সঙ্গে সঙ্গে তদন্তে নেমেছে তারা। বুধবার এএআইবি-র ডিরেক্টর জেনারেল অরবিন্দ হান্ডা কলকাতায় আসেন।

তদন্তকারীরা জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, সে-দিন ইঞ্জিনের ভিতরে ইঞ্জিন অয়েলে ফুলকি পড়ে ধোঁয়া বেরোতে থাকে। কোনও ভাবে এসি-র ঠান্ডা হাওয়ার পাইপে ঢুকে পড়ে সেই ধোঁয়া। কলকাতায় নামার মিনিট দশেক আগে পাইলট জরুরি অবতরণের অনুমতি চান। জানান, ককপিট ও যাত্রী কেবিন ধোঁয়ায় ভরে গিয়েছে। রূপালি নামে এক যাত্রী জানান, মাথা নিচু করে শ্বাস নিতে হচ্ছিল। দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তদন্তকারীদের মতে, এসি-র মধ্যে ইঞ্জিন অয়েলের ধোঁয়া যদি আধ ঘণ্টা আগে ঢুকে পড়ত, তা হলে পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে পারত।

Advertisement

তদন্তকারীরা জানান, যাত্রী কেবিনের বায়ুচাপ কমে যাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট হলে উপর থেকে অক্সিজেন মাস্ক নেমে আসে। ধোঁয়া বেরোলে তা নামার কথা নয়। তবে পাইলট চাইলে যে-কোনও সময় সেই মাস্ক নামিয়ে দিতে পারেন। বেশি ধোঁয়া হয়ে গেলে কিন্তু মাস্ক কাজ করবে না। পাইলটের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ মেলেনি। বরং পাইলট ও বিমানকর্মীদের প্রশংসাই করেছেন যাত্রীরা। পাইলটও কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল অফিসারদের তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement