স্কুলে জমি দখলে অভিযুক্ত স্মৃতির স্বামী

নতুন অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র লাগোয়া এক গ্রামে রিসর্ট তৈরির জন্য একটি স্কুলের জমির একাংশ দখলের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী জুবিনের বিরুদ্ধে। জুবিনরা বৈধ পথে জমি কিনেছেন কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জব্বলপুর শেষ আপডেট: ০৫ মে ২০১৭ ০৩:৩৮
Share:

নতুন অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। মধ্যপ্রদেশের বান্ধবগড় ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র লাগোয়া এক গ্রামে রিসর্ট তৈরির জন্য একটি স্কুলের জমির একাংশ দখলের অভিযোগ উঠল তাঁর স্বামী জুবিনের বিরুদ্ধে। জুবিনরা বৈধ পথে জমি কিনেছেন কি না, সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেউ কেউ।

Advertisement

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, সম্প্রতি বান্ধবগড় লাগোয়া মানপুরের কুচওয়াড়ি গ্রামে ৫ একর জমি কেনেন জুবিন ও তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার পুষ্পেন্দ্র সিংহ। ‘মার্কজ হসপিট্যালিটি হেরিটেজ’ সংস্থার নামে কেনা সেই জমিতে এখন বেড়া দেওয়া চলছে। জমির পাশেই সরকারি স্কুল। প্রধান শিক্ষক জানকীপ্রসাদ তিওয়ারির অভিযোগ, নিজেদের কেনা জমিতে বেড়া দেওয়ার সময়ে স্কুলের কিছুটা জমিও জবরদখল করেছেন জুবিনরা। জেলাশাসককে বিষয়টি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন তিনি। তবে তিওয়ারি এ-ও বলেছেন, অভিযোগ জানিয়েও লাভ কিছু হয়নি। উমরিয়ার জেলাশাসক অভিষেক সিংহ জানিয়েছেন, মানপুরের এসডিএম-কে বিষয়টির তদন্তভার দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয়দের দাবি, ওই জমিটি যার ছিল, তিনি মারা গিয়েছেন। কোনও উত্তরাধিকারীও নেই। তা হলে জমি কেনার সময়ে জুবিনরা কার সঙ্গে রেজিস্ট্রি করলেন— সেই প্রশ্ন উঠেছে। তবে জয়করণ এবং রামসুমের সিংহ নামে দুই ব্যক্তি বিভিন্ন সময়ে ওই ৫ একর জমির মালিকানা দাবি করেছিলেন। এখন সেটি ‘মার্কজ’-এর নামে নথিবদ্ধ।

Advertisement

১ মে বান্ধবগড় এসেছিলেন স্মৃতি। হলুদ আলো লাগানো জিপে চড়ে (ঘটনাচক্রে, সেই দিন থেকেই গাড়িতে লালবাতি নিষিদ্ধ করেছেন প্রধানমন্ত্রী) সে দিন তাঁর টাইগার সাফারির ছবি ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। স্থানীয়দের দাবি, স্মৃতি আসলে এসেছিলেন জুবিনের কেনা জমিটি দেখতে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রীর স্বামীর নাম জমি দখলের অভিযোগে জড়ানোর পরে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টায় কসুর করছে না কংগ্রেস।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন