Man Versus Wild

ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ থেকে ঢালাও সমর্থন, মোদীর অ্যাডভেঞ্চার শো দেখে দু’ভাগ নেটিজেনরা

অনেকেই বলছেন ‘মন কি বাত’ থেকে এক ধাপ এগিয়ে এই অনুষ্ঠানের নাম ‘বন কি বাত’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৯ ১৫:৪১
Share:

ম্যন ভার্সেস ওয়াইল্ড সম্প্রচারে প্রধানমন্ত্রাীর উপস্থিতি নিয়ে প্রতিক্রিয়ার ঢল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ছবি: টুইটার

সমস্ত জল্পনার অবসান। ডিসকভারি চ্যানেলে সোমবার রাত ৯টায় ভার্সেস ওয়াইল্ড অনুষ্ঠানে সম্প্রচারিত হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এপিসোডটি। ব্রিটিশ অভিযাত্রী বিয়ার গ্রিলসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এই এপিসোডটি দেখার জন্যে অপেক্ষা করেছিল গোটা দেশ। অনুষ্ঠান শেষে হাসি মজার ঝড় উঠল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

Advertisement

এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই তিনি বলে দেন, ১৮ বছরে প্রথম ছুটি নিলেন তিনি, কিন্তু কেন? প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি, ‘‘প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটাব বলে নিজেকে সামান্য সময় দিলাম।’’ এর পরেই নেটিজেনরা বলতে শুরু করে ‘মনকি বাত’ থেকে এক ধাপ এগিয়ে এই অনুষ্ঠানের নাম ‘বন কি বাত’। ১৮০টি দেশের দর্শক সাক্ষী থাকল এই অনুষ্ঠানের। অনুষ্ঠান শুরু হতেই পৃথিবীব্যাপী কৌতুহলী মানুষের প্রতীকী ছবি ছড়িয়ে পড়ল টুইটরে।


আরও পড়ুন: ইতিহাস, জনশ্রুতির মিশেল, অতীতের বর্ধিষ্ণু গ্রাম কুলধারা আজ কেন পরিত্যক্ত জানেন?
আরও পড়ুন: রামদা নিয়ে ঘরের ভিতর চোর, রুখে দাঁড়াল বৃদ্ধ দম্পতি, ভাইরাল ভিডিয়ো

Advertisement

বাঘ হোক বা কুমীর, এদিনের অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আগাগোড়াই বুঝিয়ে দেন, তিনি আসলে অকুতোভয়। বেয়ার তাঁকে নাটকীয় ভাবে বলেন, ‘‘উত্তরাখণ্ডে জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে তো হিংস্র পশু আছে। বাঘ আছে।’’ মোদীর সপাট জবাব, ‘‘আমরা প্রকৃতির সঙ্গে তালমিল রেখে চললে বন্য পশুও কিছু করবে না।’’ এর পরে অনেকেই সলমন খানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ছবি শেয়ার করে টুইটারে লিখছেন, হ্যাঁ, ‘টাইগার’-এর (সলমন খান) সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর পুরনো ‘দোস্তি’।


দেখুন সেই টুইট:

নরেন্দ্র মোদী গোটা কথোপকথনটাই চালিয়েছেন হিন্দিতে, মোদীর কথা শুনে ঘাড় নেড়েছেন বিশ্ববরেণ্য ব্রিটিশ এই অ্যাডভেঞ্চারিস্ট। তবে তাঁর ভাষা আদৌ বিয়ার গ্রিলসের বোধগম্য হয়েছে কিনা, নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছেন তা নিয়েও। ভেসে উঠেছে মজার টুইটারও—

শুধু নেতিবাচক মন্তব্যই নয়। দেখা মিলেছে গর্বিত ভক্তের টুইটেরও। অনুষ্ঠানের সম্প্রচার শেষ হতে না হতেই মোদীর সেনাপতি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটে লেখেন, ‘‘সমৃদ্ধ বন্যপ্রাণের সঙ্গে সহাবস্থান, তাদের সুরক্ষা এবং প্রকৃতির সংরক্ষণে ভারতীয় ঐতিহ্যের কথা বিশ্বের সামনে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী। গর্বের মুহূর্ত।’’


তবে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের দিনক্ষণ বাছাই নিয়ে আপত্তি রয়েছে অনেকের। তাঁরাও ছেড়ে কথা বলেননি এদিন। সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিদ্রুপের হুল ফুটিয়েছেন তাঁরা।

থমথমে কাশ্মীরের বহু মানুষ দূরে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন না। কেরলে প্রায় ২০০ টি প্রাণ চলে গিয়েছে বন্যার জেরে। এই সময়ে হালকা চালে প্রধামন্ত্রীকে দেখতে চাননি তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন