লিভিং উইল কেন?
• সুপ্রিম কোর্টের মতে, আগাম নির্দেশিকা থাকলে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার নিরঙ্কুশ অধিকার রক্ষিত হবে।
লিভিং উইল কী?
• কোনও ব্যক্তি যখন অজ্ঞান অবস্থায় বা কোমায়, তখন কী ভাবে বা কত দিন তাঁর চিকিৎসা চলবে, সে ব্যাপারে আগাম ইচ্ছাপত্র। সুপ্রিম কোর্ট যাকে বলেছে ‘অ্যাডভান্স ডিরেক্টিভ’।
কে করতে পারবেন উইল?
• সুস্থ মানসিক অবস্থার কোনও ব্যক্তি, যিনি ইচ্ছাপত্র কার্যকর করার ফলাফল সম্পর্কে অবগত। সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় ইচ্ছাপত্র তৈরি করতে হবে।
কী থাকবে উইলে?
• স্পষ্ট লিখতে হবে, কখন কোন অবস্থায় চিকিৎসা বন্ধ করা হবে। এই নির্দেশে কোনও অস্পষ্টতা থাকলে চলবে না। যিনি উইল করছেন তাঁর তরফে কে চিকিৎসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেবেন, উল্লেখ থাকতে হবে তারও।
উইল কী ভাবে তৈরি হবে?
• দু’জন নিরপেক্ষ সাক্ষীর উপস্থিতিতে উইলে সই করতে হবে। সই করবেন স্থানীয় জেলা জজ কর্তৃক ভারপ্রাপ্ত প্রথম শ্রেণির জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও। সাক্ষীরা ও জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লিখিত ভাবে জানাবেন, উইল যে স্বেচ্ছায় তৈরি হয়েছে, সে ব্যাপারে তাঁরা নিশ্চিত।
কোথায় থাকবে উইল?
• ইচ্ছাপত্রের কপি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিজের অফিসে রাখবেন, স্থানীয় জেলা আদালতে পাঠাবেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত বা পুর প্রশাসনের কাছেও কপি পাঠাতে হবে।
উইল কার্যকর হবে কখন?
• সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি যখন মৃত্যুশয্যায়, দীর্ঘ চিকিৎসার পরেও সুস্থ হওয়ার আশা নেই। চিকিৎসক উইলটি আসল কি না, যাচাই করবেন। রোগীর অবস্থা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়বে। কমিটি ছাড়পত্র দিলে হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কালেক্টরকে বিষয়টি জানাবে। তিনি মুখ্য জেলা মেডিক্যাল অফিসারকে চেয়ারম্যান করে তিন জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কমিটি গঠন করবেন। সেই কমিটি চিকিৎসা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলে তা জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে জানাতে হবে। তিনি রোগীর কাছে যাবেন এবং উইল কার্যকর করার নির্দেশ দেবেন।
পরোক্ষ নিষ্কৃতি মৃত্যু
• কৃত্রিম উপায়ে বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে এমন কোনও মৃতপ্রায় ব্যক্তির বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ (যেমন, অ্যান্টিবায়োটিক) কিংবা হৃদ্যন্ত্র বা শ্বাসযন্ত্র চালু রাখার কৃত্রিম ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়া।
প্রত্যক্ষ নিষ্কৃতি মৃত্যু
• মৃত্যু নিশ্চিত, এমন রোগ-যন্ত্রণায় জরাজীর্ণ কোনও ব্যক্তিকে চিকিৎসকের অনুমতিতে বাইরে থেকে কোনও মারণ পদার্থ প্রয়োগ করে মৃত্যু ঘটানো।