নেহরুকে অবজ্ঞায় ক্ষোভ সনিয়ার 

দেশের বর্তমান শাসকেরা জওহরলাল নেহরুকে অবজ্ঞা ও তাঁর ঐতিহ্যের ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ করলেন সনিয়া গাঁধী। নেহরুকে নিয়ে শশী তারুরের বই ‘নেহরু: দি ইনভেনশন অব ইন্ডিয়া’ পুনঃপ্রকাশের অনুষ্ঠানে আজ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৩৫
Share:

সনিয়া গাঁধী।— ফাইল চিত্র।

দেশের বর্তমান শাসকেরা জওহরলাল নেহরুকে অবজ্ঞা ও তাঁর ঐতিহ্যের ক্ষতি করছে বলে অভিযোগ করলেন সনিয়া গাঁধী। নেহরুকে নিয়ে শশী তারুরের বই ‘নেহরু: দি ইনভেনশন অব ইন্ডিয়া’ পুনঃপ্রকাশের অনুষ্ঠানে আজ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। দলের হাল ধরার পর থেকে রাহুল গাঁধীই নরেন্দ্র মোদী ও গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণের মুখ। বেশ কিছু দিনের ব্যবধানে এ ভাবে শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।

Advertisement

নেহরু জয়ন্তীর আগের দিন এই অনুষ্ঠানে তারুর উল্লেখ করেন, নেহরুবাদের প্রধান স্তম্ভগুলি হল, গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে মজবুত করা, গোটা দেশে ধর্মনিরপেক্ষতার কঠোর অনুশীলন, সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি এবং নির্জোট বিদেশনীতি। তারই সূত্র ধরে সনিয়া বলেন, ‘‘নেহরুজির দেখানো পথ সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। আমাদের বিশ্বাসের গভীরে গেঁথে রয়েছে তা।’’ এরই সঙ্গে সনিয়ার অভিযোগ, দেশ গঠনে নেহরু যা করে গিয়েছেন, বর্তমান শাসকেরা তা পাল্টে ফেলে খারাপের দিকে নিয়ে যেতে তৎপর। সনিয়ার কথায়, ‘‘প্রথম প্রধানমন্ত্রী দেশের গণতন্ত্রকে মজবুত করেছেন, ভারতীয় রাজনীতির মূল্যবোধকে গভীরে প্রোথিত করেছেন।’’ এর পরেই কারও নাম না করে সনিয়া ক্ষোভ জানান, ‘‘এখনকার শাসকেরা প্রতি দিন নেহরুকে উপেক্ষা করে চলছেন। খাটো করার চেষ্টা করছেন তাঁর ঐতিহ্যকে।’’নয়াদিল্লি, ১৩ নভেম্বর: রাহুল ও সনিয়া গাঁধীর ২০১১-’১২ সালের আয়করের হিসেব নতুন করে খতিয়ে দেখার নির্দেশ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হবে ৪ ডিসেম্বর। দু’জনেই ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় অভিযুক্ত। ওই মামলার সূত্রেই তাদের আয়করের হিসেব খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে আয়কর দফতর। এর বিরুদ্ধে রাহুলরা দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। উচ্চ আদালত গত ১০ সেপ্টেম্বরের রায়ে তাঁদের আর্জি খারিজ করে দেয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে কংগ্রেস সভাপতি ও তাঁর মায়ের আবেদন নিয়ে মঙ্গলবার শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। আয়কর দফতর এতে ক্যাভিয়েট পেশ করে রেখেছিল, যাতে তাদের উপস্থিতি ছাড়া একতরফা সিদ্ধান্ত না-নেওয়া হয়। এ দিনের শুনানিতে তাদের প্রতিনিধি হিসেবে ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেটা।

এ দিনই দিল্লি হাইকোর্টে ন্যাশনাল হেরাল্ডের প্রকাশক সংস্থা ‘অ্যাসোসিয়েট জার্নালস লিমিটেড (এজেএল)’-কে দেওয়া জমির লিজ বাতিলের প্রসঙ্গ ওঠে। নগরোন্নয়ন মন্ত্রক এজেএল-কে লিজে দেওয়া দিল্লির আইটিও-র প্রেস এনক্লেভের জায়গা খালি করতে বলেছে ৩০ অক্টোবর। এর বিরুদ্ধে সোমবার উচ্চ আদালতে যায় এজেএল। তাদের আর্জি ছিল, অবিলম্বে শুনানি হোক। হাইকোর্ট জানিয়েছে, তার প্রয়োজন নেই। ১৫ নভেম্বর লিজ বাতিলের বিরুদ্ধে ওই আর্জিটি শোনা হবে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন