রাহুলের দিকেই তাকিয়ে সনিয়া

হরিয়ানার দীপেন্দ্র হুডা কিংবা মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রধান বালাসাহেব থোরাট কিন্তু ঘোষণা করেছিলেন বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার করবেন প্রিয়ঙ্কা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০৩
Share:

ছবি: পিটিআই।

প্রচারের সময় আর মাত্র দু’দিন। ফের দলের সভানেত্রী হওয়ার পর আগামিকাল প্রথম জনসভা করতে চলেছেন সনিয়া গাঁধী। রাহুল গাঁধী অবশ্য ইতিমধ্যেই হরিয়ানা-মহারাষ্ট্র মিলিয়ে আধ ডজন সভা করেছেন। কিন্তু ‘তারকা প্রচারক’ হিসেবে নাম দেওয়ার পরেও একটিও সভা করেননি প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরা।

Advertisement

হরিয়ানার দীপেন্দ্র হুডা কিংবা মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস প্রধান বালাসাহেব থোরাট কিন্তু ঘোষণা করেছিলেন বিধানসভা নির্বাচনে প্রচার করবেন প্রিয়ঙ্কা। হরিয়ানায় ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা বনাম অশোক তানোয়ারের বিবাদের পর যে শৈলজাকে সনিয়া রাজ্যের ভার দিয়েছেন, তিনিও প্রিয়ঙ্কাকে প্রচারের অনুরোধ করেছিলেন।

তা হলে? কংগ্রেসের সূত্র বলছে, জবাব একটাই। রাহুলই ভবিষ্যতের মুখ। সেই অবস্থান থেকে সনিয়া সরে আসতে চাইছেন না। দুই রাজ্যে কংগ্রেস খুব ভাল ফলের আশা রাখছে না। তা-ও যেটুকু সভা করার রাহুলই করছেন। কাল দিল্লি থেকে দেড়শো কিলোমিটার দূরে হরিয়ানার মহেন্দ্রগড়ে গিয়ে সভা করবেন সনিয়া। মনমোহন সিংহ আজ সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মুম্বইতে। ১৯ তারিখে করবেন হরিয়ানাতে। কিন্তু ‘ম্যাডাম’ এখনও রাহুলের জন্যই ঘুঁটি সাজিয়ে রাখছেন। স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছেন, পরে হাল ধরতে হবে তাঁকেই।

Advertisement

ভোটমুখী দুই রাজ্যেই কংগ্রেসের কোন্দল চরমে। ভোটের মধ্যেও সেটি প্রকাশ্যে বেরিয়ে পড়ছে। হরিয়ানায় অশোক তানোয়ার দল ছেড়ে হুডাকে হারাতে ব্যস্ত। প্রবীণদের ‘বাড়াবাড়ি’তে রাগ এখনও মেটেনি রাহুলেরও। দশ জনপথে কোনও বৈঠকে থাকছেন না। অনেকে মনে করছেন, সনিয়া ও রাহুলের মধ্যে মতান্তর বাড়ছে। কিন্তু জনপথ-ঘনিষ্ঠ নেতার মতে, ‘‘সনিয়া-রাহুল-প্রিয়ঙ্কার মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি নেই। একসঙ্গে সব কিছু ঝালিয়ে নেন। মধ্যাহ্নভোজ কিংবা নৈশভোজ করেন একসঙ্গে। অনেক সময় রাহুলের বাড়িতেও যান সনিয়া। ম্যাডাম যা পদক্ষেপ করছেন, তা রাহুলের পথই সুগম করবে।’’

কী ভাবে? দলের সূত্রের মতে, ভোটের ঠিক পরেই ইস্তফা ঘোষণা করে রাহুল একটি কাজ সুকৌশলে করেছেন। সেটি হল, হারের কোনও পর্যালোচনা হয়নি। তবু রাহুলের টিমের সদস্যদের বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ এসেছে। সনিয়া সেগুলি দূর করছেন। নভজোৎ সিধু কিংবা স্যাম পিত্রোদাকে ধারেকাছে দেখা যাচ্ছে না। প্রবীণদের উৎসাহ বাড়লেও তাঁদের খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, এমন নয়।

এক নেতার ব্যাখ্যা, ‘‘হরিয়ানায় হুডার কথায় তানোয়ারকে সরানো হয়েছে বটে। কিন্তু হুডাকে সভাপতি করা হয়নি। আর ভোটে ভাল ফল না হলে দায় তো হুডারই হবে। তখন? সনিয়া গাঁধী সময় নিয়ে দেখছেন, দলে ‘আসল কাজের লোক’ কে? কে থাকবেন, কে ছাড়বেন? সব দিক বুঝেই মেপে পা ফেলছেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন