নির্দেশ সনিয়ার, রাহুলকে ফের সভাপতি করতে প্রচার

গত কয়েক দিন ধরেই এই প্রচার কংগ্রেসের নীচু তলায় শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, অন্তর্বর্তী দায়িত্ব পাওয়া সনিয়া গাঁধী কংগ্রেসের সভাপতি পদে রাহুলকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে চাইছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৯
Share:

রাহুল গাঁধী।

রাহুল গাঁধীর কেন সভাপতি পদে ফিরে আসা উচিত?

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরেই এই প্রচার কংগ্রেসের নীচু তলায় শুরু হয়ে গিয়েছে। কারণ, অন্তর্বর্তী দায়িত্ব পাওয়া সনিয়া গাঁধী কংগ্রেসের সভাপতি পদে রাহুলকে দ্রুত ফিরিয়ে আনতে চাইছেন। সে বার্তা পেয়েই কেন ‘আমার নেতা রাহুল’, তা নিয়ে ভরানো হচ্ছে নেট-দুনিয়া। যাঁরা এই প্রচার করছেন, তাঁদের অধিকাংশকেই দলের বিভিন্ন পদে বসিয়েছিলেন খোদ রাহুল, সভাপতি থাকার সময়। এ বারে এই প্রচারে শামিল হলেন এক মুখ্যমন্ত্রী—ছত্তীসগঢ়ের ভূপেশ বাঘেল। ঘটনাচক্রে, তাঁকেও মুখ্যমন্ত্রী করেন রাহুল গাঁধীই।

বাঘেল বলেন, ‘‘দলের সব কর্মী রাহুলের সঙ্গে রয়েছেন। জাতীয় বিষয়ে খোলাখুলি কথা বলেন তিনি। দ্রুত সভাপতির দায়িত্ব নেওয়া উচিত রাহুলের।’’ কংগ্রেসের শিবির বলছে, খোদ সনিয়া গাঁধী দলের কিছু শীর্ষ নেতাকে ইঙ্গিত দিয়েছেন, শীঘ্রই তিনি পালাবদল করতে চান। চলতি সপ্তাহের শেষে দিল্লির রামলীলা ময়দানে নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে বড় জনসভা করছে কংগ্রেস। রাহুলকে যাতে সেখানে আবার তুলে ধরা যায়, তার জন্য দু’বার এই জনসভার দিন পিছিয়েছেন সনিয়া। কারণ, রাহুল তখন বিদেশে ছুটি কাটাচ্ছিলেন।

Advertisement

দলের সূত্রের মতে, রবিবারের পরেই দলে ফের বদলের ছাপ স্পষ্ট হতে শুরু করবে। যদি গোটা প্রক্রিয়া খুব দ্রুত মিটে যায়, তা হলে ২৮ ডিসেম্বর কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের আশেপাশে কোনও ঘোষণা হতে পারে। তা না হলে সামনের বছরের গোড়ায় এআইসিসি অধিবেশনে পাকাপাকি পট পরিবতর্নের চেষ্টা হবে। কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘ম্যাডাম যদি সভানেত্রী না-ই থাকেন, সে ক্ষেত্রে অনেকে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাকে সভানেত্রী পদে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লোকসভা ভোটের পর রাহুলই বলেছিলেন, প্রিয়ঙ্কাকে সভাপতি না করতে। সনিয়াও আগ্রহী নন প্রিয়ঙ্কাকে এই পদ দিতে।’’

কংগ্রেস শিবির বলছে, রাহুল গাঁধী ইস্তফা দিলেও পালাবদলের সময় সুনিশ্চিত করেছেন যাতে আহমেদ পটেলদের মতো প্রবীণদের হাতে দলের রাশ পুরোপুরি চলে না যায়। সনিয়া চেয়েছিলেন, দলের সংগঠনের দায়িত্বে সুশীল কুমার শিন্দেকে নিয়ে আসতে। তাঁকে সভাপতি করতেও আপত্তি ছিল না সনিয়ার। কিন্তু রাহুল সাফ মানা করে দেন। দলের এই গুরুত্বপূর্ণ পদে এখন রয়েছেন রাহুলেরই বসিয়ে যাওয়া নেতা কে সি বেণুগোপাল। তবে দলের একটি অংশের মত, রাহুল যখন বুঝবেন, দলে পুরো রাশ তাঁর হাতেই এসেছে, তখনই তিনি সভাপতি হতে রাজি হবেন।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement