—ফাইল চিত্র।
কংগ্রেস সভাপতি পদে নির্বাচনের আগে দলের ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন সনিয়া গাঁধী। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতেই সভাপতি পদে নির্বাচন হওয়ার কথা। রাহুল গাঁধী ফের সভাপতির দায়িত্ব নিলে নবীন-প্রবীণ সব নেতাই যাতে তাঁর পাশে থাকেন, সনিয়ার এই উদ্যোগের পিছনে সেই চেষ্টাই কাজ করছে বলে কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন। দলীয় সূত্রের খবর, শনিবার এই বৈঠক হতে পারে।
গত লোকসভা ভোটে ভরাডুবির দায়িত্ব নিয়ে সভাপতির পদ ছাড়া রাহুল ফের দায়িত্ব নিতে অনিচ্ছুক ছিলেন। তিনি চাইছিলেন, গাঁধী পরিবারের বাইরের কেউ সভাপতি হোন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে রাহুলই কোনও দায় না-নিয়ে পিছন থেকে সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করবেন বুঝে বিক্ষুব্ধ নেতারা আগাম আপত্তি তুলে রেখেছেন। কংগ্রেস সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে সনিয়া চাইছেন, রাহুল সভাপতি হোন। কিন্তু তাঁর পাশে কমল নাথ বা অশোক গহলৌতের মতো কোনও পোড়খাওয়া নেতা রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে থাকুন। সনিয়ার ক্ষেত্রে যে দায়িত্ব পালন করতেন আহমেদ পটেল। কিন্তু গহলৌত রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছাড়তে নারাজ। তাই সনিয়া কমল নাথের সঙ্গে দিল্লিতে বৈঠক করেন। প্রিয়ঙ্কা গাঁধী বঢরাও কমল নাথের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন। সূত্রের খবর, কমল নাথ সনিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন, সভানেত্রী নিজে বিক্ষুব্ধ প্রবীণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসুন।
গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বলের মতো ২৩ জন কংগ্রেস নেতা সনিয়াকে চিঠি লিখে শীর্ষ নেতৃত্বে সক্রিয়তার দাবি তুলেছিলেন। তাঁদের তির ছিল, কারও সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই পর্দার আড়াল থেকে রাহুলের সিদ্ধান্ত গ্রহণের দিকে। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে গুলামদের বিরুদ্ধে দলকে দুর্বল করার অভিযোগ ওঠে। তার পর থেকেই গাঁধী পরিবারের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ নেতাদের সম্পর্কের শৈত্য চলছে। রাহুল শিবিরের বক্তব্য, খুব শীঘ্রই সংগঠনে বড় রদবদল হবে। এআইসিসি-র অধিবেশনও ডাকা হবে। সেই অধিবেশনে রাহুলের ফের সভাপতির পদ গ্রহণের পথ প্রশস্ত করতেই সনিয়া বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারেন। তবে সকলকে নয় বিক্ষুব্ধদের প্রতিনিধি হিসেবে পাঁচ থেকে ছয় জন প্রবীণ নেতাকে ডাকা হবে। রাহুল বা প্রিয়ঙ্কা বৈঠকে হাজির থাকবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।