‘রাহুলজি’র কৃতিত্ব, বৈঠকে ছেলের প্রশংসায় সনিয়া

দলে ‘নতুন প্রাণশক্তি’ নিয়ে আসা এবং ‘অক্লান্ত পরিশ্রম’ করার জন্য রাহুলকে সাধুবাদ জানিয়ে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে আজ সনিয়া বলেন, ‘‘আমাদের নতুন সভাপতি অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রণে একটি দল তৈরি করেছেন। আমাদের প্রতিপক্ষকে অপরাজেয় হিসেবে তুলে ধরা হত

Advertisement

প্রেমাংশু চৌধুরী

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:২৭
Share:

দলীয় বৈঠকে বক্তা সনিয়া গাঁধী। বুধবার। নিজস্ব চিত্র

ছেলের সাফল্যে কোন মায়ের না গর্ব হয়! সনিয়া গাঁধীও তার ব্যতিক্রম নন। কিন্তু রাহুল গাঁধী তো শুধু সনিয়ার ছেলে নন, তাঁর দলের সভাপতিও। দলের বৈঠকে তাই সনিয়া ছেলেকে ‘কংগ্রেস সভাপতি রাহুলজি’ বলেই সম্বোধন করলেন। কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে রাহুলের সাফল্যকে কুর্নিশ জানালেন।

Advertisement

দলে ‘নতুন প্রাণশক্তি’ নিয়ে আসা এবং ‘অক্লান্ত পরিশ্রম’ করার জন্য রাহুলকে সাধুবাদ জানিয়ে কংগ্রেসের সংসদীয় দলের বৈঠকে আজ সনিয়া বলেন, ‘‘আমাদের নতুন সভাপতি অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশ্রণে একটি দল তৈরি করেছেন। আমাদের প্রতিপক্ষকে অপরাজেয় হিসেবে তুলে ধরা হত। কংগ্রেস সভাপতি তাঁদের মুখোমুখি দাঁড়িয়েছেন। নিজের সঙ্গে লক্ষ লক্ষ কর্মীকে জড়ো করেছেন। তাঁরাও নিজেদের সবটুকু দিয়েছেন।’’

সনিয়ার থেকে রাহুলের হাতে বেটন চলে যাওয়ার পর অন্য ধর্মনিরপেক্ষ দলের নেতাদের অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল, সনিয়া যে ভাবে আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন, বাকিরাও যে ভাবে সনিয়ার কথা মানতেন, রাহুলের ক্ষেত্রে সেখানে সমস্যা হবে না তো? সনিয়া নিজে দাবি করেছেন, রাহুল সেই পরীক্ষাতেও উতরে গিয়েছেন।

Advertisement

সনিয়া যখন ছেলের প্রশংসা করছেন, রাহুল তখন মঞ্চে মনমোহন সিংহ, মল্লিকার্জুন খড়্গে, গুলাম নবি আজাদদের সঙ্গে বসে। সকলের মুখেই মৃদু হাসি। রাহুল অবশ্য বলেন, ‘‘আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখ থেকে যে তর্জন-গর্জন হারিয়ে গিয়েছে, তার কারণ রাহুল গাঁধী নয়। তার কারণ কংগ্রেস দল, তার কর্মী ও আপনারা। আমি আপনাদের থেকেই প্রাণশক্তি পাই।’’ ২০১৪-য় জিতে আসা মাত্র ৪৪ জন সাংসদ নিয়ে পাল্টা লড়াই করার জন্য কংগ্রেসের প্রবীণ-নবীন সাংসদদের সাধুবাদ জানান রাহুল। বলেছেন, ‘‘সবাই ভেবেছিলেন, জনা চল্লিশেকের কণ্ঠ চাপা পড়ে যাবে। যা যাতে না হয়, তার জন্য প্রবীণ সাংসদদের ওয়েলে নামতে হয়েছে। শারীরিক ও মানসিক ভাবে কঠিন কাজ ছিল। তার জন্য এখন আমরা হাসতে পারছি।’’ লোকসভার দলনেতা হিসেবে মল্লিকার্জুন খড়্গের প্রশংসা করেন রাহুল। রাজ্যসভায় মনমোহনের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেন, ‘‘উনি নোট বাতিলের পরেই বলেছিলেন, জিডিপি-র ২ শতাংশ ক্ষতি হবে। জানি না, কী করে আগাম এত নিখুঁত হিসেবে করেছিলেন! সেটাই প্রমাণ হয়েছে।’’

সনিয়া ও রাহুল আজ বিরোধীদের নিশানা করা, মিথ্যে প্রতিশ্রুতি, জুমলাবাজি, আতঙ্কের পরিবেশ তৈরির জন্য মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন। বলেন, ‘‘নতুন আত্মবিশ্বাস নিয়ে লোকসভা ভোটে যাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন