আইসিইউ থেকে বেরিয়েছেন সনিয়া গাঁধী। কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরতে এখনও লেগে যেতে পারে কয়েক মাস। তাই রাহুল গাঁধীকে পুরোদমে মাঠে নামিয়েই এ বারে উত্তরপ্রদেশের রণকৌশল নির্ধারণ করতে চাইছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
দলের এক সূত্রের মতে, সনিয়া গাঁধীর বারাণসীর সভার আগেই রাহুল গাঁধী লখনউতে একটি সভা করেছিলেন। কিন্তু জনতার যে ঢল সনিয়ার রোড-শো-তে নেমেছিল, তুলনামূলকভাবে তেমন সাড়া পড়েনি লখনউতে। এর একটি কারণ হতে পারে, রোড-শো-এর মাধ্যমে আরও বেশি জনতার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়। সনিয়ার এখন শরীরের যে অবস্থা, তাতে আগামী কয়েক মাস বাইরে সভা বা রোড-শো সম্ভব নয়। তাই রাহুল গাঁধীকে দিয়ে এ বারে উত্তরপ্রদেশে রোড-শো করানোর ভাবনা হচ্ছে।
দলের নির্বাচনী কৌশলী প্রশান্ত কিশোর ইতিমধ্যেই রোড-শো-এর ভাবনা দলের মধ্যে নিয়ে এসেছেন। লোকসভা নির্বাচনে নরেন্দ্র মোদীর কৌশলী হিসেবে তিনিও প্রধানমন্ত্রীর প্রার্থীকে দিয়ে এই বারাণসীতেই রোড-শো করিয়েছিলেন। এ বারে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের মুখ শীলা দীক্ষিত ও অন্য শীর্ষ নেতাদের দিয়েও একটি রোড-শো করানো হয়েছে। দিল্লি থেকে লখনউ পর্যন্ত। তাতেও সাফল্য এসেছে। ফলে রাহুলকে দিয়েই একটি দীর্ঘ রোড-শো করানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। যাতে দফায় দফায় দুই-এক সপ্তাহ করে টানা রোড-শো করতে পারেন রাহুল। যত বেশি রোড-শো তিনি করবেন, তত বেশি ভোট তিনি টানতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভেঙেছে হাড়, অস্ত্রোপচার সনিয়ার কাঁধে
বারাণসীর রোড-শোতে শরীরে জলের অভাব হওয়ায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন সনিয়া। পড়ে গিয়ে কাঁধের হাড় সরেও যায়। গতকালই মুম্বই থেকে চিকিৎসক উড়িয়ে এনে তাঁর অস্ত্রোপচার হয়। আজ দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সনিয়াকে আইসিইউ থেকে বাইরে আনা হয়েছে। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে হাসপাতাল সূত্রের মতে, এখনও তাঁর বুকে সংক্রমণ রয়েছে। ফলে আরও কিছুটা নজরদারি রেখে কয়েকদিন হাসপাতালেই বিশ্রামে রাখা হবে। তারপর তাঁকে ছাড়া হবে। তবে ছাড়া পেলেও তাঁকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপি করতে হবে। বিশ্রামেই থাকতে হবে। বাইরের গতিবিধি এখনই করা সম্ভব নয়। তিনি যে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠছেন, সেটি বোঝাতে আজ হাসপাতাল থেকেই দুটি বিবৃতি জারি করেন সনিয়া। একটি রিও অলিম্পিকে খেলোয়াড়দের অভিনন্দন জানাতে। আর একটি অসমের সন্ত্রাস হামলার নিন্দা করে।