কালো টাকা সাদা করার অভিযোগ তুলে আজ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহকে কাঠগড়ায় তোলার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে হামলা আঁচ করেই কাশ্মীর প্রসঙ্গে কংগ্রেসের মনোভাব নিয়ে পাল্টা আক্রমণে নামল বিজেপি। কাশ্মীর নিয়ে কংগ্রেস নেতাদের মন্তব্যকে জঙ্গি হাফিজ সইদ থেকে শুরু করে তার সংগঠন লস্কর-এ-তইবা সমর্থন করে বসায় দিনভর জারি রইল বিতর্ক।
আমদাবাদের যে জেলা সমবায় ব্যাঙ্কে সারা গুজরাতের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাতিল নোট জমা পড়েছিল, অমিত শাহ তার অধিকর্তা। বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আক্রমণ শানাতে আজ বেলা ১টায় সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা। তা দেখেই বেলা ১২টা নাগাদ তড়িঘড়ি মন্ত্রক থেকে বিজেপির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদকে। ঠিক হয়, কংগ্রেসের আগেই সাড়ে ১২টায় সাংবাদিক সম্মেলন করবেন রবিশঙ্কর। অসুস্থ অরুণ জেটলিকে বলা হয়, ব্লগের মাধ্যমে রাহুল গাঁধী তথা কংগ্রেসকে তোপ দাগতে। দলনেতাকে বাঁচাতে সঙ্ঘবদ্ধ আক্রমণে নামে গোটা বিজেপি শিবির।
বিজেপির হাতিয়ার ছিল কাশ্মীরের প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সইফুদ্দিন সোজ ও গুলাম নবি আজাদের দু’টি আলাদা বক্তব্য। সাম্প্রতিক সময়ে একাধিক বার কাশ্মীরের স্বাধীনতা নিয়ে মুখ খুলেছেন সোজ। এ বার নিজের নতুন বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘পারভেজ মুশারফ বলেছিলেন, কাশ্মীরিরা পাকিস্তানের সঙ্গে জুড়ে যেতে চান না। স্বাধীনতাই তাঁদের প্রথম পছন্দ। কথাটা সে দিনও ঠিক ছিল, আজও ঠিক।’’ গুলাম নবি আজাদের মন্তব্য, ‘‘সম্প্রতি কাশ্মীরে এক জঙ্গিকে মারতে গিয়ে ১৩ জন সাধারণ মানুষ মারা যান। উপত্যকায় হত্যালীলা চালাচ্ছে সেনা।’’ দুই কংগ্রেস নেতার সমর্থনে মুখ খোলে লস্কর নেতা হাফিজ সইদ।লস্করের মুখপাত্র মহম্মদ শাহও বলে, ‘‘গুলাম নবির মতো আমাদেরও আশঙ্কা, রাজ্যপালের শাসনের নামে হত্যালীলা চালানো হবে কাশ্মীরে।’’
রবিশঙ্করের কথায়, ‘‘কংগ্রেস নেতাদের কথা অস্বস্তিকর, দুর্ভাগ্যজনক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন। এর ফলে রাষ্ট্রপুঞ্জে তাঁদের বক্তব্যকে হাতিয়ার করবে ইসলামাবাদ।’’ সোজের বক্তব্যকে অবশ্য খারিজ করে দেয় কংগ্রেস। সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘নিজের বই বিক্রির জন্য এ সব বলছেন সোজ। কাশ্মীর ভারতের অভিন্ন অঙ্গ ছিল, আছে, থাকবে।’’ তবে আজাদের পক্ষে সুরজেওয়ালার যুক্তি, ‘‘সেনা অভিযানের সময়ে যাতে নির্দোষ ব্যক্তিদের প্রাণ না যায়, তা নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন গুলাম নবি।’’