সিআরপিএফের জওয়ানেরা চিন্তাগুম্ফার জঙ্গলে কোথায় বসে দুপুরের খাওয়া খাবে, কোন পথে আসবে, দলে ক’জন থাকবে— সব খবরই ছিল মাওবাদীদের কাছে। কী ভাবে জওয়ানদের সম্পর্কে এত তথ্য মাওবাদীদের কাছে গেল, চব্বিশ ঘণ্টা পরেও তা নিয়ে অন্ধকারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, হিডিমা নামে এক মাওবাদী নেতার নির্দেশেই হামলা হয়েছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই! বাকি সূত্রের খোঁজে হাতড়াচ্ছেন গোয়েন্দারা।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা
প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি সর্ষের মধ্যেই ভূত? মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহ দীর্ঘ দিন ধরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে বলছেন, মাওবাদীরা সশস্ত্রবাহিনীর মধ্যে চর তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। এখন প্রশ্ন, যে বাহিনীতে তিন লক্ষ জওয়ান, সেই সিআরপিএফের শীর্ষ পদ কেন গত দু’মাস ধরে খালি? দু’মাসে সিআরপি-র উপরে হামলার পরে স্বভাবতই এই প্রশ্নে অস্বস্তিতে মন্ত্রক। আজ কেন্দ্র জানিয়েছে, ডিজি পদের জন্য প্রাথমিক তালিকা তৈরি। এখন চূড়ান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষা। গত দু’মাসে তিন ডজনের বেশি নিরাপত্তা কর্মী মাওবাদীদের হাতে মারা যাওয়ার পরে মাওবাদী নীতিতে আমূল বদলের কথা জানান রাজনাথ। সিআরপিএফের অস্থায়ী ডিজি সুদীপ লাখটাকিয়াকে দু’সপ্তাহের মধ্যে রণকৌশল জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আজ বিহারে গিয়ে মাওবাদীদের উদ্দেশে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে রাজনাথ বলেন, ‘‘সাহস থাকলে মুখোমুখি লড়াই করো। দেখি তোমাদের কত ক্ষমতা!’’