রাহুল-সীতারামের বৈঠক ঘিরে জল্পনা

সংসদ ভবনে দেখা। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরির। তার পরে দু’জনে মিলে বসলেন সংসদ ভবনের একতলায়, কংগ্রেস অফিসে। কফি, স্যান্ডউইচ এল। বৈঠক চলল প্রায় এক ঘণ্টা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৩২
Share:

উদ্যম: সংসদে রাহুল। ছবি: পিটিআই।

সংসদ ভবনে দেখা। রাহুল গাঁধীর সঙ্গে সীতারাম ইয়েচুরির। তার পরে দু’জনে মিলে বসলেন সংসদ ভবনের একতলায়, কংগ্রেস অফিসে। কফি, স্যান্ডউইচ এল। বৈঠক চলল প্রায় এক ঘণ্টা।

Advertisement

বিরোধী শিবিরের দুই শীর্ষ নেতার এই বৈঠক নিয়েই দিনভর পশ্চিমবঙ্গের সাংসদদের মধ্যে জল্পনা চলল— তা হলে কি কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে ফের পশ্চিমবঙ্গ থেকেই রাজ্যসভায় আসছেন সীতারাম ইয়েচুরি?

জল্পনার কারণ, ইয়েচুরির রাজ্যসভার মেয়াদ অগস্টে শেষ হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাঁকে ফের রাজ্যসভায় আসতে হলে কংগ্রেসের সমর্থন নিতেই হবে। সিপিএম সূত্র বলছে, ইয়েচুরির ফের রাজ্যসভায় ফেরা নিয়ে দলেরই অন্দরে আপত্তি রয়েছে। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড যদি বলে, অন্য কাউকে নয়, ইয়েচুরিকে প্রার্থী করলে তবেই তাঁরা সিপিএমকে সমর্থন দেবে, একমাত্র তবেই দলের অন্দরে ইয়েচুরির বাধা কাটতে পারে।

Advertisement

আজকের বৈঠকে এই সব নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে অবশ্য কোনও নেতাই স্বীকার করেননি। ঘনিষ্ঠ মহলে ইয়েচুরি জানিয়েছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সংসদীয় রণকৌশল নিয়েই আলোচনা হয়েছে তাঁদের। সঙ্ঘ পরিবার কী ভাবে পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় অতিসক্রিয় হয়ে মেরুকরণের চেষ্টা করছে, তা-ও রাহুলকে জানান ইয়েচুরি।

আরও পড়ুন: গোমাংস বিতর্ক নিয়ে দু’ভাগ অজমের দরগা

লোকসভায় পাশ হওয়ার পরে জিএসটি সংক্রান্ত বিলগুলি এখন রাজ্যসভায়। কংগ্রেস-সিপিএম দু’দলই জিএসটি বিলে সংশোধনী দিয়েছে। ইয়েচুরি আজ রাহুলকে জানিয়েছেন, বিরোধীরা এক জোট হলে তাঁদের সংশোধনী পাশ হবে। যেমনটা অর্থ বিলে হয়েছিল। উত্তরপ্রদেশে কৃষকদের একাংশের ঋণ মকুবের পর গোটা দেশেই কৃষকদের ঋণ মকুবের দাবি তুলেছেন বিরোধীরা। ঠিক হয়েছে, সংসদের পাশাপাশি সব রাজ্যেই এই দাবি তোলা হবে।

এই বৈঠকে রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে কোনও কথাই হয়নি! কেউই বিশ্বাস করছেন না তা।

অগস্ট মাসে রাজ্যের ৬ রাজ্যসভা সাংসদের মেয়াদ ফুরোচ্ছে। তৃণমূলের চার বাদে বাকি দু’জন, প্রদীপ ভট্টাচার্য ও ইয়েচুরি। কংগ্রেস ও সিপিএমের মধ্যে যে কোনও এক জনই আসতে পারবেন। ইয়েচুরির সমস্যা হল, প্রকাশ কারাট ও তাঁর অনুগামীরা এর বিরুদ্ধে। যুক্তি, পার্টির প্রথা অনুযায়ী কাউকে দু’বারের বেশি রাজ্যসভায় পাঠানো হয় না। তা ছাড়া, ইয়েচুরি এখন সাধারণ সম্পাদক। ফের রাজ্যসভায় যেতে চাইলে আগামী বছর পার্টি কংগ্রেসে তাঁকে গদি ছাড়তে হবে। কারাটদের এই আপত্তি খারিজ করতে পারে আলিমুদ্দিন স্ট্রিট।

সেই সঙ্গে কংগ্রেসকেও অবস্থান নিতে হবে, ইয়েচুরি হলেই তাঁরা সমর্থন জানাবেন। সে ক্ষেত্রে পার্টির নাক কেটে ইয়েচুরির যাত্রাভঙ্গ করতে হবে কারাটদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন