প্রতীকী ছবি।
যক্ষ্মা বা কলেরার মতো কোনও সংক্রামক ব্যাধি নয়। এ দেশের সব থেকে বড় বিপদ এখন উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হৃদ্রোগ আর ক্যানসার।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সমীক্ষা জানাচ্ছে, ভারতে প্রতি বছর বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে যত মৃত্যু ঘটে, তার ৬৮ শতাংশেরই কারণ এই ধরনের অসংক্রামক ব্যাধি। বিশেষজ্ঞেরা জানান, খাদ্যাভাস ও জীবনযাপনের ধরনের জন্য ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদ্রোগ বা ক্যানসারের মতো অসুখ বাড়ছে। তেরো-চোদ্দো বছর বয়স থেকে মদ ও তামাকে আসক্তি বাড়ছে। সেই জন্যই দেশে ফি-বছর ক্যানসারে প্রায় দশ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। সব থেকে বেশি মুখ ও গলার ক্যানসার। ‘‘সচেতনতার সঙ্গে সঙ্গে চাই আইনের কড়া প্রয়োগ,’’ বলছেন ক্যানসার শল্যচিকিৎসক পঙ্কজ চতুর্বেদী। মদ, তামাক, অতিরিক্ত প্রোটিন ও তেলমশলাদার খাবার স্থূলতা এবং স্থূলতার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয় বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। স্থূলত্বের ধাক্কায় বেশ কিছু রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। স্থূলতা-বিশেষজ্ঞ বি রমেনের কথায়, ‘‘ওজন বৃদ্ধি ঠেকাতে পারলেই অনেক রোগ থেকে দূরে থাকা যায়।’’ অতিরিক্ত মাংস ও চর্বি জাতীয় খাবার খেতে নিষেধ করছেন ডাক্তারেরা। কারণ, মূলত এই ধরনের খাবারই উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ও হার্টের সমস্যা বাড়াচ্ছে। প্রতি বছর হার্ট বিকল হয়ে প্রাণ হারাচ্ছেন সাড়ে ন’লক্ষ মানুষ।
হৃদ্রোগ-বিশেষজ্ঞ কুণাল সরকারের কথায়, ‘‘কার্বোহাইড্রেটও নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।’’ হৃদ্রোগ-বিশেষজ্ঞ সত্যজিৎ বসু জানান, মোটা চালের ভাত চললেও ময়দার তৈরি খাবার একেবারে নয়। কম পরিশ্রমও এই ধরনের রোগের অন্যতম কারণ। ক্যানসার শল্যচিকিৎসক গৌতম মুখোপাধ্যায়ের মতে, দৈনিক আধ ঘণ্টা শারীরিক পরিশ্রম না-করলে সুস্থ জীবন কাটানো মুশকিল।