Religious

মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী মধ্যপ্রদেশের ধর্মগুরু

ইনি মধ্যপ্রদেশের ভইয়ুজি মহারাজ। মঙ্গলবার ইনদওরে নিজের বাড়িতেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ভইয়ুজি ওরফে উদয় দেশমুখকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইনদওর শেষ আপডেট: ১২ জুন ২০১৮ ১৭:৩২
Share:

এই সেই ভইয়ুজি মহারাজ।

কখনও মার্শাল আর্টের প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। কখনও বা মডেলিং করেছেন। শখ স্পোর্টস ইউটিলিটি ভেহিকল (এসইউভি) চালানোর। আর বেসরকারি চাকরি শেষে সপ্তাহান্তে নিজের ফার্ম হাউসে সময় কাটানো। তবে একটা সময়ের পর মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু। ইনি মধ্যপ্রদেশের ভইয়ুজি মহারাজ। মঙ্গলবার ইনদওরে নিজের বাড়িতেই মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ভইয়ুজি ওরফে উদয় দেশমুখকে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বন্দুক থেকে মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যা করেন পঞ্চাশ বছর বয়সি স্বঘোষিত এই ধর্মগুরু। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ইনদওরের এক হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

Advertisement

গত এপ্রিলেই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান তাঁকে রাজ্যের মন্ত্রীর পদও দিতে চেয়েছিলেন। তাঁর নাম ছিল নর্মদা নদী সংস্কার কমিটির সদস্য হিসেবেও। কিন্তু মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করাই লক্ষ্য, এমনটাই জানিয়ে সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন ভইয়ুজি।

কেন আত্মহত্যা করলেন মধ্যপ্রদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ধর্মগুরু? তা নিয়ে উঠছে নানা প্রশ্ন। কেউ বলছেন, ভইয়ুজির প্রথম স্ত্রী মাধবী ২০১৫-র নভেম্বরে প্রয়াত হন। তারপর থেকে অবসাদ গ্রাস করেছিল তাঁকে। যদিও ২০১৭-র ৩০ এপ্রিল আয়ূষী শর্মা নামে এক চিকিৎসককে বিবাহ করেন এই ধর্মগুরু। তবে সেই বিবাহে নাকি সুখী হননি তিনি। কেউ বলছেন, প্রথম পক্ষের কন্যার সঙ্গেও সম্পর্ক ভাল ছিল না একেবারেই। সব মিলিয়ে আত্মহত্যার কারণ নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। ধর্মগুরুর এ হেন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না অনুরাগীরাও। ভইয়ুজির ইনদওরের বাড়ির সামনে তাঁর ভক্তদের সামলাতে মঙ্গলবার পুলিশ মোতায়েন করতে হয়।

Advertisement

আরও খবর:

৭০ বছর ধরে স্রেফ হাওয়া খেয়ে বেঁচে আছেন ইনি?

খেলতে খেলতে হঠাৎ করেই প্যারালিসিস! আড়ালে রয়েছে পোকা​

অবসরে কবিতা লিখতেন যে ভইয়ুজি, তিনিই কিন্তু লোকপাল বিল সমস্যা সমাধানে ২০১১-য় সমাজকর্মী অণ্ণা হজারে এবং তৎকালীন ইউপিএ সরকারের সঙ্গে মধ্যস্থতাকারীর কাজ করেছিলেন। প্রফুল পটেল, শরদ পওয়ার-সহ একাধিক রাজনীতিবিদকে তাঁর বাড়িতে যাতায়াত করতে দেখা গিয়েছে। সুশীলকুমার শিন্ডে ও বিলাসরাও দেশমুখের মতো প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীরা যেমন এসেছেন, তেমনই দেখা গিয়েছে সড়ক ও জাহাজ পরিবহণ এবং জলসম্পদ দফতরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করিকেও।

বাস্তুশাস্ত্র, গ্রহরত্ন ও ধ্যানের মাধ্যমে অনুরাগীদের নানা সমস্যার সমাধান করতেও নাকি পারতেন ভইয়ুজি। দেশ-বিদেশে রয়েছে এই মহারাজের অসংখ্য ভক্ত। ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে ভইয়ুজিকে ‘আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু, সমাজ সংস্কারক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের নিয়ে সমাজসেবামূলক কাজও করতেন ভইয়ুজি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন