প্রতীকী ছবি।
পরীক্ষার্থীদের সুরেই এ বার কেন্দ্রের স্টাফ সিলেকশন কমিশন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব হলেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
গত মঙ্গলবার থেকে দিল্লির সিজিও-র সামনে এসএসসি পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পরীক্ষার্থীরা। অভিযোগ, গত ১৭ থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি এসএসসি-র যে লিখিত পরীক্ষা হয়েছে তার প্রশ্নপত্র আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়াতেও ওই সব প্রশ্নপত্র ও উত্তর পাওয়া যাচ্ছিল বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই প্রশ্ন ফাঁসের কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি নেওয়া পরীক্ষা বাতিল করেছেন এসএসসি কর্তৃপক্ষ। যা ফের ৯ মার্চ হবে। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের দাবি ১৭ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হওয়া সবক’টি পরীক্ষা বাতিল করে নতুন করে নিতে হবে। কারণ প্রত্যেকটি পরীক্ষার প্রশ্নই আগে ফাঁস হয়ে গিয়েছে।
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই মোদী সরকার রোজগার তৈরির প্রশ্নে সম্পূর্ণ ব্যর্থ বলে সরব রয়েছেন বিরোধী নেতৃত্ব। সঙ্ঘ পরিবারও এ নিয়ে আঙুল তুলেছে মোদী সরকারের দিকে। লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে। অভিযোগ এড়াতে আগামী এক বছরে সরকারি ক্ষেত্রে নিয়োগের একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। কয়েক দিনের মধ্যেই রেলে প্রায় এক লক্ষ পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার আগে এসএসসি পরীক্ষায় দুর্নীতির ঘটনা নিয়ে যে ভাবে বিরোধীরা সরব হতে শুরু করেছেন রীতিমতো অস্বস্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার। গত কাল ওই প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় সিবিআই তদন্ত দাবি করেছিলেন অরবিন্দ কেজরীবাল। আজ কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা বলেন, ‘‘প্রশ্ন ফাঁসের ওই ঘটনা মধ্যপ্রদেশের ব্যপমের চেয়েও বড় কেলেঙ্কারি। তাই সিবিআইকে দিয়েই এর তদন্ত করা হোক।’’
পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে লোদী রোডের সিজিও কমপ্লেক্সে এসএসসি-র দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন প্রায় ২০০ জন ছাত্র। হোলির দিনে পরীক্ষার্থীরা বাড়ি ফিরে যাবেই বলে ভেবেছিল দিল্লি পুলিশ। কিন্তু তা হয়নি। ভিড়কে ছত্রভঙ্গ করতে আজ ওই এলাকায় সমস্ত খাবারের দোকান ও জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। বন্ধ থাকে সিজিও-সংলগ্ন সমস্ত মেট্রো স্টেশনও। এমনকী পরীক্ষার্থীদের হটাতে ওই এলাকায় আজ ঝাড়ুদার পাঠানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। লক্ষ্য ছিল, যাতে ক’দিনের জমে থাকা জঞ্জালের গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে জায়গা ছেড়ে চলে যান। কিন্তু উল্টে পরীক্ষার্থীরাই ওই জঞ্জাল সাফ করে দেন। পরীক্ষার্থীদের ওই আন্দোলনকে সমর্থন করে সরব হয়েছেন অণ্ণা হজারেও।