বাংলাদেশি প্রসঙ্গ নিয়ে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের শেষ দিন। পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে যায় যে দু’বার স্থগিত করে দিতে হল অধিবেশন। মার্শাল ডেকে বের করে দেওয়া হল বাঘবরের বিধায়ক শেরমান আলি আহমেদ ও পূর্ব গোয়ালপাড়ার বিধায়ক আব্দুল কালাম রশিদ আলমকে।
বিতর্কের সূত্রপাত সত্রের জবরদখল হওয়া জমি নিয়ে। সিপাঝাড়ের বিজেপি বিধায়ক বিনন্দ শইকিয়া অভিযোগ করেন, সন্দেহজনক বাংলাদেশিরাই সত্রের জমি দখল করে রেখেছে। এই কথার প্রতিবাদ করেন শেরমান আলি। তিনি জানান, বন্যা ও ভূমিক্ষয়ে ঘরহারা সংখ্যালঘু পরিবারগুলির পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে তাদের বাংলাদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে দেওয়া হচ্ছে। এই নিয়ে তর্ক ক্রমে ঝগড়ার রূপ নেয়। স্পিকার রঞ্জিৎ দাস দু’বার বিধানসভা স্থগিত রাখেন। কিন্তু উত্তাপ কমেনি। কথা কাটাকাটির সময় মরিগাঁওয়ের বিধায়ক রমাকান্ত দেউড়ি শেরমান আলির দিকে আঙুল তুলে তাঁকে বাংলাদেশি বলেন। উত্তেজিত শেরমান স্পিকারের টেবিলের সামনে চলে আসেন। বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে ওই কথা বাদ দিতে বলেন স্পিকার। সেই ঘোষণার প্রতিবাদে জোটবদ্ধ হয় কংগ্রেস ও এআইইউডিএফ। তর্কাতর্কির সময় অসুস্থ শেরমান স্পিকারের টেবিলের সামনে পড়ে যান। পরে তাঁকে ও আব্দুল কালামকে মার্শাল ডেকে বিধানসভা কক্ষ থেকে বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়। স্পিকার রঞ্জিৎ দাস জানান, শেরমান এ ভাবে উত্তেজিত হতে থাকলে আরও অসুস্থ হয়ে পড়তেন। তাই তাঁকে বাইরে পাঠানো হয়। গোটা ঘটনাই বিধানসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।