জনজীবন স্তব্ধ করে শান্তির বন্‌ধ ঝাড়খণ্ডে

সকাল থেকে গাড়িঘোড়া, দোকানপাট সব বন্ধ। জেএমএমের ডাকা বারো ঘণ্টার রাজ্য বন্‌ধে আজ স্তব্ধ হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের জনজীবন। বিশেষ প্রয়োজনে যাদের রাস্তায় বেরোতে হয়েছিল, হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাদের। তবে পুলিশ প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের জন্য বন্‌ধে বড় ধরনের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৬ ০৩:২৩
Share:

ফাঁকা পথঘাট। শনিবার জামশেদপুরে পার্থ চক্রবর্তীর তোলা ছবি।

সকাল থেকে গাড়িঘোড়া, দোকানপাট সব বন্ধ। জেএমএমের ডাকা বারো ঘণ্টার রাজ্য বন্‌ধে আজ স্তব্ধ হয়ে যায় ঝাড়খণ্ডের জনজীবন। বিশেষ প্রয়োজনে যাদের রাস্তায় বেরোতে হয়েছিল, হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাদের। তবে পুলিশ প্রশাসনের কড়া পদক্ষেপের জন্য বন্‌ধে বড় ধরনের কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

Advertisement

জামশেদপুরে দু’টি গাড়িতে ও বোকারোয় একটি খালি ট্রাকে আগুন লাগার ঘটনা ছাড়া সে রকম কোনও ক্ষয়ক্ষতিরও খবর নেই। এ দিন বন্‌ধে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সকাল থেকেই প্রতিটি জেলায় পুলিশ ছিল তৎপর। রাঁচির প্রধান প্রধান রাস্তার মোড়ে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছিল। রাস্তায় ঘুরেছে ঘোড়সওয়ার পুলিশ। বড় রাস্তায় কোথাও জমায়েত হলেই পুলিশ বন্‌ধ সমর্থকদের গ্রেফতার করেছে। রাস্তায় টহলদারি পুলিশ ছাড়াও শহরের আকাশে ছিল ড্রোন ক্যামেরা। এই প্রথম বন্‌ধে অশান্তি ঠেকাতে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করল পুলিশ।

এডিজি (অপারেশন) এস এন প্রধান বলেন, “পুরো ঝাড়খণ্ডে মোট ৯২৩৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে এক জন সাংসদ ও ন’জন বিধায়কও রয়েছেন। রাঁচি থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে ৬৩৮ জনকে। তবে বন্‌ধ শান্তিপূর্ণ।” ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নির্বাহী সভাপতি তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন বলেন, “বন্‌ধ সফল হয়েছে। তবে স্থানীয় নীতি নিয়ে আমাদের দাবি যদি না মানা হয় তা হলে আরও বড় ধরনের আন্দোলনে আমরা নামব।”

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement