বামেদের ডাকা বন্ধে অচল অন্ধ্রপ্রদেশ। ছবি: সংগৃহীত।
কেন্দ্রীয় বাজেটে বঞ্চনার অভিযোগে বামেদের ডাকা বন্ধে বিপর্যস্ত অন্ধপ্রদেশ। মূলত বামেদের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার এই বন্ধ পালিত হলেও এতে সমর্থন রয়েছে ওয়াইএসআর কংগ্রেস, জনসেনা-সহ সব বিরোধী দলেরই। বন্ধকে সরাসরি সমর্থন না করলেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনডিএ শরিক তথা রাজ্যের শাসক দল তেলুগু দেশম পার্টি (টিডিপি)।
এ দিন সকাল থেকেই বন্ধ সমর্থকেরা রাস্তায় বসে পড়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। সাতসকালেই বিশাখাপত্তনমে তেরোশোরও বেশি সরকারি বাস চলাচল বন্ধ করে দেন বাম কর্মী-সমর্থকেরা। রাজ্য সরকার আগে থেকেই বন্ধের দিনে স্কুল ছুটির কথা ঘোষণা করেছিল। বন্ধের দিনে কয়েকটি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এ দিন পর্যাপ্ত যানবাহনের অভাবে ভোগান্তিতে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রশাসনের তরফে রাজ্য জুড়ে কড়া পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ নিয়ে সমস্ত জেলার পুলিশ সুপারদের সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি পি মালাকোন্ডাইয়া। বন্ধের সময় যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে দিকে বিশেষ নজর রাখতে বলা হয়েছে জেলা প্রশাসনকে।
আরও পড়ুন
এ কি সংসদ! ভোট ভাষণ প্রধানমন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় বাজেটে রাজ্যকে বঞ্চনার অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ চলাকালীনই প্রতিবাদ শুরু করেন টিডিপি সাংসদেরা। সংসদের দুই কক্ষেই এ নিয়ে সোচ্চার হন তাঁরা। অভিনয় থেকে রাজনীতিতে আসা পবন কল্যাণের অভিযোগ, অন্ধ্রপ্রদেশের বিভাজনের সময়ই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হবে। তবে সে কথা রাখা হয়নি। এর পর কেন্দ্রে এনডিএ সরকার ক্ষমতায় এলেও তা নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি। এরই প্রতিবাদে তারা রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান জনসেনা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা পবন। তিনি আরও জানিয়েছেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে পালিত হলে বামেদের ডাকা এই বন্ধের প্রতি তাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
আরও পড়ুন
দুমড়ে গেল গাড়ি, আহত মোদীর স্ত্রী
এই ধরনের খবর আপনার ইনবক্সে সরাসরি পেতে এখানে ক্লিক করুন
বন্ধকে সরাসরি সমর্থন না করলেও দলীয় নেতাদের সংসদে বিক্ষোভ চালিয়ে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন টিডিপি সভাপতি তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নায়ডু। এর আগে চন্দ্রবাবুর সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং অনন্ত কুমারের টেলিফোনে কথা হয়। বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতা সংসদে টিডিপি-র বিক্ষোভ বন্ধের জন্য অনুরোধ করলেও তাতে অবশ্য সুর নরম করেনি টিডিপি।