সরকারের তিন বছরের মাথায় এক ঢিলে দুই পাখি মারার মন্ত্র দিলেন অমিত শাহ। গোটা দেশ থেকে আসা দলের মুখপাত্রদের আজ ক্লাস নিলেন বিজেপি সভাপতি। পাঁচ ঘণ্টার পাঠশালায় তাঁদের বললেন, ‘‘২০১৯ সালেও সফল হব। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে মোদী সরকারের তিন বছরের সাফল্য প্রচার করুন।’’
নরেন্দ্র মোদী সরকারের তিন বছর পূর্তি অনুষ্ঠানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে আগামিকাল। তার আগে দলের মুখপাত্রদের অমিত শেখালেন, বিরোধী আক্রমণ কী ভাবে প্রতিহত করতে হবে। তাঁর দাওয়াই, মোদী সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে বিরোধীদের হল্লার জবাবে বেশি আক্রমণাত্মক হওয়ার দরকার নেই। সহজ জবাব হল পরিসংখ্যান। অতীতে কংগ্রেস সরকার যে কাজ করেনি, মোদী সরকার তা করেছে। ফলে তিন বছরের খতিয়ান তুলে ধরলে একসঙ্গে দু’টি কার্য সিদ্ধি হবে। বিরোধীদেরও মোকাবিলা করা যাবে। সরকারের সাফল্যও মেলে ধরা সম্ভব হবে।
তিন বছরের মাথায় যে বিষয়গুলি নিয়ে সব থেকে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে বিজেপিকে, তা হল কাশ্মীরের অশান্ত পরিস্থিতি, সন্ত্রাসবাদ, মাওবাদী হামলা ও প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও রোজগার কেন এত কম। অমিত শাহ প্রায় রোজ এই সব নিয়ে প্রশ্নের জবাব দিচ্ছেন। তাঁর মতে, কাশ্মীরের সমস্যা পুরনো, তবু এর স্থায়ী সমাধানই কেন্দ্রের লক্ষ্য। আর সুকমার মতো মাওবাদী হামলা নিয়ে অমিতের ব্যাখ্যা, চার দিক থেকে ঘিরে ফেলায় মাওবাদীরা হতাশা হয়ে হামলা করছে। কড়া হাতে তাদের মোকাবিলা করা হচ্ছে।
কর্মসংস্থানের প্রশ্নে বিরোধীরা লাগাতার প্রচার করছে, প্রধানমন্ত্রী বছরে দু’ কোটি মানুষকে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কেন্দ্রের শ্রম মন্ত্রক বলছে, কাজ পেয়েছেন মাত্র ১ লক্ষের একটু বেশি মানুষ। জবাব হিসেবে বিজেপি নেতাদের ঢাল করতে বলা হচ্ছে মুদ্রা যোজনার সাফল্য। যেখানে ৭ কোটি লোক ঋণ নিয়েছেন। অমিতের মতে, ১২৫ কোটি মানুষের দেশে মোদী সকলকে চাকরি দেওয়ার কথা বলেননি। তাদের রোজগার বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করেছেন। এবং তাতে দেখা যাচ্ছে প্রতিশ্রুতির থেকেও বেশি কাজ তৈরি হয়েছে। এই ভাবে বাকি কাজের খতিয়ানও আজ দলের নেতাদের সামনে তুলে ধরেন অমিত শাহ। যাতে ভবিষ্যতে দল একসুরে সেগুলি পৌঁছে দিতে পারেন দেশের প্রতিটি কোণে।