মেঘালয়ের সাইপুং কয়লা খাদানে উদ্ধারকাজ শুরু হল জোরকদমে। ছবি- সংগৃহীত।
দুর্ঘটনার ১৭ দিনের মাথায় উচ্চক্ষমতাশালী পাম্প নিয়ে মেঘালয়ের জলমগ্ন সাইপুং কয়লা খাদানে পুরোদস্তুর উদ্ধারকাজে নেমে পড়ল ভারতীয় নৌবাহিনীর ১৫ জনের একটি ডুবুরি দল। তবে নিখোঁজ ১৫ জন কয়লা শ্রমিকের মধ্যে এক জনেরও হদিশ মেলেনি এখনও পর্যন্ত। শনিবার শুধু পাওয়া গিয়েছিল তিনটে হেলমেট।
জাতীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয় মোকাবিলা (এনডিআরএফ) দফতরের সহকারী কম্যান্ডান্ট সন্তোষ কুমার সিংহ জানিয়েছেন, নৌবাহিনীর সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগিয়েছেন ঘটনাস্থলে আগে থেকেই থাকা ওডিশা দমকল বাহিনীর কর্মীরা। তবে এখনও সাইপুং-সহ আশপাশের খাদানগুলিতে হু হু করে জল ঢুকছে লাগোয়া লিতিয়েন নদী থেকে। সাইপুং কয়লা খাদান থেকে সেই জল দ্রুত বের করে আনতে পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়েই আশপাশের আরও কয়েকটি কয়লা খাদান থেকে জল বের করার কাজ শুরু হয়েছে। লিতিয়েন নদী থেকে জল যাতে ওই সব খাদানে আর ঢুকতে না পারে, তারও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সাইপুং কয়লা খাদানে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে সবচেয়ে বড় সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ে কয়লা খাদানগুলির গঠনকাঠামো। প্রত্যেকটি খাদান একে অন্যের সঙ্গে যুক্ত। ফলে, লিতিয়েন নদীর জল যে কোনও একটি খাদানে ঢুকে তা অন্য খাদানগুলিতে যেমন ঢুকে পড়ছে, তেমনই সেই নদীর জল একই সঙ্গে ঢুকছে এলাকার প্রায় সবক’টি খাদান দিয়েই।
আরও পড়ুন- পাম্পের অপেক্ষায় থমকে উদ্ধার
আরও পড়ুন- খনি শ্রমিকরা জলমগ্ন, প্রধানমন্ত্রী ব্যস্ত ছবি তোলায়, মোদীকে তোপ রাহুলের
ওডিশা দমকল বাহিনীর প্রধান সুকান্ত শেঠি বলেছেন, ‘‘পরিস্থিতি এতটাই বেহাল যে, জলমগ্ন কয়লা খাদানগুলির বেশ কয়েকটিকে শীঘ্রই পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে হবে।’’