জেলাশাসকের আশ্বাসে আন্দোলন প্রত্যাহার করল ‘ইন্ডিজেনাস স্টুডেন্টস ফোরাম’ (আইএসএফ)। রেল ও ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের কাজ বন্ধের দাবিতে শুক্রবার রাত থেকে সংগঠনটি অনির্দিষ্ট কালের বনধ ডেকেছিল। কিন্তু উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল তাকে গুরুত্ব না দিয়ে মালগাড়ি চালায়। তাতেই ঝামেলা শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা রেলের ইঞ্জিনে পাথর ছোড়ে। পরিস্থিতি সামলাতে আরপিএফ জওয়ানরা গুলি চালান। তাতে সাইমিয়ন মার নামে এক যুবক জখম হন। তাঁকে হাফলং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আইএসএফ-এর অভিযোগ, লামডিং-শিলচর ব্রডগেজ লাইন তৈরির জন্য অধিগৃহীত জমির ক্ষতিপূরণ মেলেনি। তা আদায়েই আন্দোলনে নেমেছিলেন তাঁরা।
ডিমা হাসাওয়ের পুলিশ সুপার জি ভি শিবপ্রসাদ বলেন, ‘‘নুন-বোঝাই মালগাড়িটি শিলচর যাচ্ছিল। হাফলং স্টেশনে পৌঁছনোর পর অবরোধের জন্য সেটিকে দাঁড় করিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু রাতে রেল কর্তৃপক্ষ সেটিকে এগোনোর সবুজ সঙ্কেত দেয়। মালগাড়িটি বড় মলকই গ্রামে পৌঁছনোর পর পাহাড়ের উপর থেকে পাথরবৃষ্টি শুরু হয়। নিরাপত্তা রক্ষীরা গুলি চালায়। এতেই আহত হন সাইমিয়ন মার নামে এক আন্দোলনকারী।’’ আজ জেলাশাসক জুরি ফুকন ও পুলিশ সুপার শিবপ্রসাদ বড় মলকই গ্রামে যান। সাইমিয়নের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেন। ওই যুবকের চিকিৎসার জন্য ৫০ হাজার টাকা সরকারি তহবিল থেকে দেওয়ার কথা জানিয়ে আসেন। জেলাশাসক আশ্বাস দেন, সরকারি সম্পত্তির উপর হামলা এবং গুলি চালনার তদন্ত হবে।
আইএসএফ সভাপতি ডেভিড কেভসের অভিযোগ, শুধু উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল নয়, ইস্ট-ওয়েস্ট করিডরের জন্য জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষও ডিমা হাসাও জেলার হারাঙ্গাজাওয়ে প্রচুর জমি অধিগ্রহণ করেছে। কিন্তু কাউকেই ক্ষতিপূরণ দেয়নি। দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানালেও সাড়া মিলছে না। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন জেলাশাসক সংশ্লিষ্ট পক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে আঞ্চলিক ম্যানেজার এ কে পাণ্ডে, নির্মাণ শাখার ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার জে কে চৌধুরী এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের আর এন প্রসাদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।