গুজরাতের স্কুলে অভিভাবকদের বিক্ষোভ। ঘটনাস্থলে পুলিশ। ছবি: পিটিআই।
কী ভাবে ঘটনার সূত্রপাত বন্ধুকে ফোনে জানিয়েছিল অভিযুক্ত পড়ুয়া। দশম শ্রেণির পড়ুয়াকে খুনের ঘটনায় যখন উত্তপ্ত গুজরাতের আহমদবাদ, সেই সময় পুলিশের কাছে হাতে বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর তথ্য এসেছে বলে সূত্রের খবর। অভিযুক্ত পড়ুয়ার সঙ্গে তার বন্ধুর বেশ কেয়কটি কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। সেই কথোপকথনের সত্যতা যাচাই করছে পুলিশ।
তবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, হামলার ঘটনার পর পরই এক বন্ধুকে সব জানায় অভিযুক্ত। কেন সে এই কাণ্ড ঘটাল সেই কথাও বন্ধুকে বলেছে। সে রকমই বেশ কিছু তথ্য পুলিশের হাতে এসেছে। ইংরেজি হরফে হিন্দি ভাষায় লিখে ওই পড়ুয়া তার বন্ধুর কাছে স্বীকার করে যে, দশম শ্রেণির পড়ুয়ার উপর হামলা চালিয়েছে। সে কি ছুরি নিয়ে হামলা চালিয়েছে, এ কথা জিজ্ঞাসা করেছিল বন্ধু। তখন অভিযুক্ত বলে, ‘‘হ্যাঁ, তাতে কী হয়েছে?’’
কেন এ কাজ করতে গেল? এই প্রশ্নও করেছিল অভিযুক্তের বন্ধু। তখন তাকে বলে, ‘‘আরে, আমাকে বলছিল, কে রে তুই? কী করবি আমার?’’ সেখান থেকেই বচসার সূত্রপাত বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ। তার পর আচমকাই দশম শ্রেণির ছাত্রের পেটে ছুরি ঢুকিয়ে দেয় অভিযুক্ত পড়ুয়া। ঘটনার পর থেকেই বিবিন্ন সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, অভিযুক্ত পড়ুয়া অষ্টম শ্রেণির। এমনকি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী প্রফুল্ল পানসেরিয়াও একই দাবি করেছিলেন। তবে পরে পুলিশ দাবি করেছে যে, দুই ছাত্র একই ক্লাসে পড়ত। পুলিশের যুগ্ম কমিশনার জয়পাল সিংহ রাঠৌর বলেন, ‘‘দশম শ্রেণির পড়ুয়া ছুরি নিয়ে সহপাঠীর উপর হামলা চালায়। বুধবার সকালে আক্রান্ত পড়ুয়ার মৃত্যু হয়।’’
তবে এই ঘটনায় আরও ছয়-সাত জন জড়িয়ে রয়েছে বলে দাবি করেছেন অন্য পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা। তাঁদের দাবি, অনেকেই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত। স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা। তাঁদের দাবি, ঘটনার পর পরই জল দিয়ে রক্ত ধুইয়ে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, সমস্ত দিক তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় যাঁরা যাঁরা জড়িত থাকবেন, সকলের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সহপাঠীর হাতে খুনের অভিযোগ ওঠে গুজরাতের স্কুলে।