অনুরাগ অনিল বরকর চিঠিতে লিখে যান, তিনি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেননি। ছবি: সংগৃহীত।
যে দিনের জন্য বাবা-মায়ের এত দিন অপেক্ষা, অবশেষে সেই দিন এল। কিন্তু সে দিনই একমাত্র ছেলের দেহ মিলল ঘরে। চিঠিতে ছেলে লিখেছেন, বাবা-মা চাইলেও তিনি নিজে চিকিৎসক হতে চাননি। তাই নিজেকে শেষ করে দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার ছিল ১৯ বছরের ওই তরুণের এমবিবিএসে ভর্তির দিন। দুপুরে তাঁর দেহ পাওয়া যায় বাড়িতে। পড়ার টেবিলে রাখা চিঠিতে লেখা, ‘‘আমি ডাক্তার হতে চাই না।’’ তবে মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেননি মেধাবী ছাত্রটি। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম অনুরাগ অনিল বরকর। বাড়ি মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর জেলায়। বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকতেন তরুণ। এ বছরই নিট ইউজি (ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স টেস্ট-আন্ডার) পরীক্ষায় সফল হন অনুরাগ। বিভিন্ন সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, অনুরাগ পেয়েছিলেন ৯৯ পার্সেন্টাইল। উল্লেখ্য, পরীক্ষায় পারসেন্টাইল হল সেই নম্বর, যা নির্দেশ করে যে পরীক্ষার্থীর থেকে কত শতাংশ পরীক্ষার্থী কম বা সমান নম্বর পেয়েছে। ৯৯ পারসেন্টাইল মানে পরীক্ষার্থীর স্কোর এমন যে, ৯৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী তার চেয়ে কম বা সমান নম্বর পেয়েছেন। ওবিসি ক্যাটেগরি-তে ১৯ বছরের অনুরাগ ১৪৭৫ র্যাঙ্ক করেছিলেন। উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরের একটি মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পড়ার সুযোগ পান তিনি। মঙ্গলবার ছিল ভর্তির দিন। গোরক্ষপুর যাওয়ার কথা সকালে। ছেলে তৈরি হয়েছেন কি না দেখতে তাঁর ঘরে ঢুকে থ হয়ে যান বাবা-মা।
সিলিং ফ্যানে কাপড় বেঁধে গলায় ফাঁস নেন অনুরাগ। সামনের টেবিলে পড়েছিল একটি চিরকুট। তাতে লেখা, ‘‘আমি ডাক্তার হতে চাই না।’’ বাড়ির লোকের চাপেই জয়েন্টে বসেছিলেন। দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পরে দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, হতাশা থেকে আত্মহত্যা করেছেন অনুরাগ। তবে বিস্তারিত তদন্তের পর সঠিক তথ্য জানা যাবে।