ফাইল চিত্র।
ভারতীয়দের আয়ু গড়ে দেড় বছরেরও বেশি (১.৫৩ বছর) কমিয়ে দিচ্ছে বায়ুদূষণের মাত্রা। প্রায় একই অবস্থা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, চিন, মিশর, সৌদি আরব ও নাইজিরিয়ারও।
বাতাসে বিষের মাত্রা কমানো সম্ভব হলে ভারত, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও চিনের নাগরিকদের আয়ু গড়ে ৮ মাস থেকে ১ বছর ৪ মাস পর্যন্ত বাড়তে পারে।
পরিবেশবিজ্ঞান সংক্রান্ত একটি আন্তর্জাতিক জার্নাল ‘এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি লেটার্স’-এ সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র এ কথা জানানো হয়েছে।
গবেষণা দেখিয়েছে, বায়ুদূষণের ফলে নাগরিকদের গড় আয়ু সবচেয়ে বেশি কমছে বাংলাদেশে। ১.৮৭ বছর। পাকিস্তানে কমছে গড়ে ১.৫৬ বছর। চিনে ১.২৫ বছর। আর মিশর, সৌদি আরব ও নাইজিরিয়ায় সেই আয়ু গড়ে কমছে যথাক্রমে ১.৮৫ বছর, ১.৪৮ বছর এবং ১.২৮ বছর।
আরও পড়ুন- দূষণে সেরা চোদ্দো শহরই ভারতের
আরও দেখুন- বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত ১০ শহরের মধ্যে ৯টি ভারতের
বায়ুমণ্ডলে দূষণ-কণা (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা ‘পিএম’)-র ব্যাস আড়াই মাইক্রোমিটার বা, মাইক্রন (‘পিএম-২.৫’)-এর বেশি নয়, এটা ধরেই গবেষণাটি করা হয়েছে। বায়ুমণ্ডলে ওই ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কণা (পিএম)-গুলি খুব সহজে মিশে যেতে পারে, আকার-আকৃতিতে তা খুব ছোট হয় বলে। পিএম কণাগুলির ব্যাস যদি তার চেয়ে বেশি হয় (পাঁচ বা, দশ), তা হলে তুলনামূলক ভাবে তাদের বায়ুমণ্ডলে মিশে যেতে সময় লাগে বেশি।
টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, দূষণ-কণাগুলি অত ছোট (পিএম-২.৫) হয় বলেই সেগুলি খুব সহজে ফুসফুসের অনেক গভীরে ঢুকে যেতে পারে। আর বায়ুমণ্ডলে পরিমাণে তা প্রচুর থাকে বলে শ্বাস নিলেই তারা হুড়মুড়িয়ে ঢুকে পড়ে হৃদপিণ্ডে। যাতে হৃদরোগ, স্ট্রোক, শ্বাসকষ্ট ও ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়ছে।
মূল গবেষক জোশুয়া আপ্তে বলছেন, ‘‘ওই ছোট ছোট দূষণ-কণা (পিএম-২.৫)গুলি বায়ুমণ্ডলে আসে বিদ্যুৎকেন্দ্র, গাড়ি, ট্রাক, অগ্নিকাণ্ড, ফসল পোড়ানো ও কারখানার চিমনি থেকে। ওই ছোট ছোট দূষণ-কণাগুলি আয়ু কতটা কমাচ্ছে, এর আগে তা নিয়ে কোনও গবেষণা হয়নি।’’