পাথারকান্দিতে মহকুমার দাবি

পাথারকান্দিকে মহকুমা ঘোষণার দাবির আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন সমষ্টির বিধায়ক তথা সংসদীয় সচিব মণিলাল গোয়ালা ও দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ। তাঁরা জানান, অনেক বছর ধরেই পাথারকান্দির মানুষ ওই দাবি জানিয়েছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৫ ০৩:০২
Share:

পাথারকান্দিকে মহকুমা ঘোষণার দাবির আন্দোলনকে সমর্থন জানালেন সমষ্টির বিধায়ক তথা সংসদীয় সচিব মণিলাল গোয়ালা ও দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক সিদ্দেক আহমেদ। তাঁরা জানান, অনেক বছর ধরেই পাথারকান্দির মানুষ ওই দাবি জানিয়েছেন। বর্তমানে রামকৃষ্ণনগরকে মহকুমা হিসেবে উন্নীত করার যে প্রস্তাব সরকারি ভাবে দাখিল করা হয়েছে, তা বাস্তবের পরিপন্থী। মণিলালবাবু বলেন, ‘‘পাথারকান্দিতে সেচ, পূর্ত, জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ সহ অন্য সরকারি দফতর রয়েছ। পাথারকান্দির সরকারি দফতরগুলি থেকেই রামকৃষ্ণনগরের কাজ পরিচালিত হয়। সেখানে শুধুমাত্র কোষাগার (ট্রেজারি) রয়েছে। পাথারকান্দিতে মহকুমা গঠনের পরিকাঠামো থাকার পরও রামকৃষ্ণনগরকে মহকুমায় উন্নীত করার প্রস্তাব মানা যায় না।’’

Advertisement

মহকুমা গঠনের ক্ষেত্রে সেখানে চার লক্ষাধিক বাসিন্দার প্রয়োজন রয়েছ। আছিমগঞ্জ-সহ রামকৃষ্ণনগরের একাংশ খণ্ড উন্নয়ন ব্লক পাথারকান্দির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। রামকৃষ্ণনগরে মহকুমা সদর স্থাপন করা হলে পাথারকান্দি এলাকার বাসিন্দাদের অনেক সমস্যার সামনে পড়তে হবে। তা ছাড়া রামকৃষ্ণনগরে রেল যোগাযোগও নেই। একই মত পোষণ করেন সিদ্দেকও। এ নিয়ে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানিয়েছেন।

বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, ২০১৬ সালে অসমে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে রামকৃষ্ণনগর মহকুমার স্বীকৃতি পেলে বিপাকে পড়তে পারেন বিধায়ক মণিলালবাবু। পাথারকান্দিতে মহকুমা স্থাপনের দাবিতে আন্দোলন চলছে। এমনকী দাবিপূরণ না হলে বনধের হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন এলাকাবাসী। এই পরিস্থিতিতে সমষ্টির বিধায়ক নাগরিকদের পাশে না থাকলে ভোটবাক্সে তার প্রভারের আশঙ্কা রয়েছে বিধায়কের।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন