অহঙ্কার, মস্তি, গুরু আর চামচা, চার বারণ বিজেপিতে

সুনীল দলের সমর্থক ও কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন, অহঙ্কার নিয়ে চললে সিপিএমের মতো দশা হবে বিজেপিরও। দলের  কেউ যেন অহঙ্কারী মনোভাব নিয়ে না চলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৮ ০৩:২২
Share:

ত্রিপুরার ভারপ্রাপ্ত দলের নেতা সুনীল দেওধর।

বিজেপির কর্মকর্তাদের কোন নেতার ‘চামচা’ হতে বারণ করলেন ত্রিপুরার ভারপ্রাপ্ত দলের নেতা সুনীল দেওধর। নরেন্দ্র মোদী সরকারের চার বছর পূর্তি উপলক্ষে বিজেপি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সুনীল দেওধর আজ এই কথা বলেন। রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে এই অনুষ্ঠানে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব, উপমুখ্যমন্ত্রী জিষ্ণু দেববর্মা, উচ্চশিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ, স্বাস্থ্যমন্ত্রী সুদীপ রায়বর্মণ, ক্রীড়ামন্ত্রী মনোজকান্তি দেব।

Advertisement

সুনীল দলের সমর্থক ও কর্মকর্তাদের স্মরণ করিয়ে দেন, অহঙ্কার নিয়ে চললে সিপিএমের মতো দশা হবে বিজেপিরও। দলের কেউ যেন অহঙ্কারী মনোভাব নিয়ে না চলেন। বিনম্র হয়ে রাজ্যের মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করতে হবে। ২০১৩ সালে যে দলের এক জন ছাড়া সব প্রার্থীর জামানত জব্দ হয়েছিল, পাঁচ বছর পরে তারাই সরকারে এসেছে। মানুষের ভালবাসায় এটা সম্ভব হয়েছে। তাই সুনীলের মন্ত্র, ‘‘অহঙ্কার, মস্তি, গুরু আর চামচা— এই চারটি থেকে সব সময় দুরে থাকতে হবে দলের প্রত্যেককে। প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্বচ্ছ মনোভাব দেখেই ত্রিপুরার মানুষ এই সরকার এনেছে। ২০১৯-এ রাজ্যের দু’টি লোকসভা আসনই মোদীকে উপহার দেওয়ার প্রতিজ্ঞা করতে হবে দলকে।

ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের এই ক’মাসেই মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব ও কিছু নেতার সঙ্গে দলের বাকি নেতাদের বিভিন্ন বিষয়ে মতবিরোধ সামনে উঠে এসেছে। জল গড়িয়েছে দিল্লি পর্যন্ত। বিপ্লবকে ডেকে নিয়ে কথাও বলেছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর পরপরই সুনীলের এই বক্তব্যকে তাৎপর্যপূর্ণ মনে করছেন রাজনীতির লোকজন।

Advertisement

সুনীল বিনয়ী হতে বললেও অনুষ্ঠানের শেষ বক্তা বিপ্লব কিন্তু আক্রমণাত্মকই ছিলেন সিপিএমের প্রতি। তাঁর বক্তব্য, সিপিএম তাদের অবৈধ অফিসগুলি ভাঙার জন্য কান্নাকাটি করছে। তার বদলে বন্যার ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার কাজে মন দিক। সরাসরি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারকে নিশানা করে বিপ্লব বলেন, ‘‘রাজ্যে কতগুলি মানুষ মারা গেলেন বৃষ্টিতে। ঘর ধসে পড়েছে। মানিক সরকার তো তাঁদের দেখতে গেলেন না! শুধু অবৈধ অফিসগুলি ভাঙার পরে ছবি তুলতে দাঁড়িয়ে পড়ছেন!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন