Fire Cracker

বাজি পোড়ানোয় নিষেধাজ্ঞা নয়, তবে দু’ঘণ্টার সময়সীমা বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট

রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত বাজি পোড়ানো যাবে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি অনলাইনে আতসবাজি কেনাবেচার ওপরও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শীর্ষ আদালত।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ১১:০৬
Share:

গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

দিওয়ালির আগে পোড়ানো যাবে বাজি। সারা দেশে সামগ্রিক ভাবে বাজি নিষিদ্ধ করল না শীর্ষ আদালত। তবে বাজির ব্যবহারে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। বাজি পোড়ানো যাবে শুধু রাত আটটা থেকে দশটা পর্যন্তই। পাশাপাশি অনলাইনে আতসবাজি কেনাবেচার ওপরও সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে শীর্ষ আদালত। ক্রিসমাস ও নিউইয়ার্স ইভের সময়ও বাজি পোড়ানোর সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। রাত ১১.৪৫ থেকে ১২.৪৫ পর্যন্ত বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি এ কে সিকরি এবং বিচারপতি অশোক ভূষণ নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ। বাজি পোড়ানোর অনুমতি দেওয়া হলেও কম দূষণ ছড়ায়, শুধু মাত্র সেই সমস্ত বাজিই কেনাবেচা করা যাবে বলে সাফ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই মতো নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বাজি প্রস্তুতকারকদেরও।

Advertisement

বাজি প্রস্তুতকারকদের জীবন-জীবিকা এবং সারা দেশের ১৩০ কোটি মানুষের স্বাস্থ্য, এই দু’টি বিষয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রেখেই রায় দেওয়া হবে বলে এর আগে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বাজি পোড়ানোর পর বায়ুদূষণের মাত্রা কমাতে কী করা যেতে পারে, তাই নিয়ে কেন্দ্রের মতামতও জানতে চেয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। তার আগে বাজি প্রস্তুতকারক, বাজি নিষিদ্ধ করার পক্ষের আবেদনকারী এবং দেশের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেছে শীর্ষ আদালত।

আবেদনকারীদের বক্তব্য ছিল, বায়ুদূষণের মাত্রা ২.৫ ইউনিটের বেশি হলে তা দেশের মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, কারণ তাহলে বিভিন্ন ক্ষতিকর কণা বা পার্টিকল সরাসরি ফুসফুসে চলে যায়। অন্য দিকে বাজি প্রস্তুতকারকদের দাবি ছিল, বাজি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ না করে নিয়ন্ত্রণ করার কথা ভাবা হোক। একই সঙ্গে তাঁদের যুক্তি ছিল, বাজি ছাড়াও বাতাসের গতিবেগ এবং তাপমাত্রাও বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। তাই সব কিছুর জন্য শুধু মাত্র বাজিকে দায়ী করা ঠিক নয়। বাজি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হলে সারা দেশে অসংখ্য বাজি প্রস্তুতকারকদের জীবন ও জীবিকাও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বলে জানান তাঁরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: মুখ খুলতে পারবেন না শিক্ষকরাও! ইউজিসি-র নয়া ফরমান

এর আগে গত বছরের ৯ অক্টোবর দিওয়ালির আগে রাজধানী দিল্লিকে ভয়ঙ্কর দূষণের হাত থেকে রক্ষা করতে বাজি নিষিদ্ধ করেছিল শীর্ষ আদালত। তাতে বায়ুদূষণের মাত্রা কতটা বাড়ছে বা কমছে, তা বুঝতেই পরীক্ষামূলক ভাবে এই রায় দেওয়া হয়েছিল। দিওয়ালির আগে দু’দিনের জন্য বাজি কেনাবেচার অনুমতি চেয়ে আবেদনও জানিয়েছিলেন বাজি প্রস্তুতকারকরা। কিন্তু তা নাকচ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট।

আরও পড়ুন: ছোট পদক্ষেপ রুখতে পারে উষ্ণায়ন-বিপদ

(দেশজোড়া ঘটনার বাছাই করা সেরা বাংলা খবর পেতে পড়ুন আমাদের দেশ বিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন