বিচারপতি নিয়োগের নতুন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। এই ব্যবস্থা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে কী ভাবে ‘অর্থপূর্ণ’ ও ‘দায়বদ্ধ’ করে তুলবে, তা নিয়েই জানতে চেয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট ও বিভিন্ন রাজ্যের হাইকোর্টগুলির বিচারপতিদের নিয়োগে দীর্ঘ দুই দশকের কলেজিয়াম ব্যবস্থাকে পাল্টে দিয়েছে মোদী সরকার। এজন্য ‘জাতীয় বিচারবিভাগীয় নিয়োগ কমিশন’ গড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সংসদও যাতে সিলমোহর দিয়েছে। কিন্তু কমিশন গঠনের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি আর্জি দাখিল হওয়ায় বিষয়টি নয়া মোড় নেয়। প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু প্রধানমন্ত্রী মোদীকে চিঠি লিখে জানিয়ে দেন, যত ক্ষণ না কমিশনের বৈধতা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ তাঁদের ফয়সালা শোনাচ্ছে, তত ক্ষণ তাঁর পক্ষে নিয়োগ কমিশনের বৈঠকে যোগ দেওয়া সম্ভব নয়। শুধু তা-ই নয়, ছয় সদস্যের নিয়োগ কমিশনে দেশের বিখ্যাত ব্যক্তিদের থেকে দু’জনকে বেছে নেওয়ার জন্য যে কমিটি রাখা হয়েছে, তাতেও এখন তিনি যোগ দেবেন না বলে জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। এর পরেই সরকার প্রধান বিচারপতির অবস্থান ঠিক করে দিতে সাংবিধানিক বেঞ্চের সামনে আর্জি জানিয়েছিল। আজ সেই মামলার শুনানিতে নতুন ব্যবস্থার দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
নতুন ব্যবস্থাকে গড়ে তুলতে গিয়ে দাবি করা হয়েছিল, এটি বিচারবিভাগের কাজকে অর্থবহ করে তুলবে এবং নিয়োগ কমিশনে বিখ্যাত ব্যক্তিদের উপস্থিতি দায়বদ্ধতা বাড়াবে। পাশাপাশি, বাছাই প্রক্রিয়াতেও স্বচ্ছতা আনবে। এ দিন এ নিয়ে জানতে চান বিচারপতি জে এস কেহরের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, দু’জন রাজনীতিক, তার মধ্যে ‘স্যান্ডুইচ’ হয়ে থাকা প্রধান বিচারপতি এবং দু’জন নিতান্ত আনকোরা ব্যক্তি কী ভাবে বিচারবিভাগের নিয়োগ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন?
বিচারপতিরাই বিচারপতিদের নিয়োগ করবেন— এই কলেজিয়াম ব্যবস্থা তুলে দিয়ে নতুন আইন আনার বিপক্ষে আজ সওয়াল করেছেন বর্ষীয়ান আইনজীবী রাজীব ধবন।