— প্রতীকী চিত্র।
দেশে আর্থিক লেনদেন হয় এমন অনলাইন গেম নিষিদ্ধ করেছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সেই আইনকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশন জমা পড়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেই নিয়েই সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার কেন্দ্রের জবাব চাইল শীর্ষ আদালত।
বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ জানায়, মূল যে পিটিশন জমা পড়েছে, তা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের হয়ে জবাব দেবেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল। তার জবাব আগেই পিটিশনকারীর আইনজীবীকে পাঠিয়ে দিতে হবে। ২৬ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
চলতি বছরের অগস্টে ‘দ্য প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং অ্যাক্ট, ২০২৫’ পাশ করে মোদী সরকার। সংশ্লিষ্ট আইনটিতে বলা হয়েছে, আর্থিক লেনদেন রয়েছে এমন কোনও অনলাইন গেম খেলতে পারবে না এ দেশের আমজনতা। শুধু তা-ই নয়, যে অনলাইন গেমগুলিতে পুরষ্কার মূল্য রয়েছে, সেগুলিও খেলা যাবে না। সংশ্লিষ্ট গেমগুলিকে নতুন আইনটির আওতায় পুরোপুরি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্রীয় প্রশাসন।
এই আইনকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এর আগে দিল্লি, কর্নাটক, মধ্যপ্রদেশ হাই কোর্টে পিটিশন জমা পড়েছে। সুপ্রিম কোর্টেও বেশ কয়েকটি পিটিশন জমা পড়েছে। সব মিলিয়ে শুনানি হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী জানিয়েছেন, এই অনলাইন গেম নিষিদ্ধ হওয়ার কারণে বহু মানুষ রুজি হারিয়েছেন। মামলাকারী নিজেই অনলাইনে দাবা খেলে রোজগার করতেন। বিচারপতি পারদিওয়ালার পর্যবেক্ষণ, ‘‘ভারত অদ্ভুত এক দেশ। আপনি এক জন খেলোয়াড়। খেলতে চান। এটাই আপনার রোজগারের একমাত্র উৎস। তাই শুনানিতে যোগ দিতে চান।’’
আবেদনকারীর আইনজীবী সওয়াল করে জানিয়েছেন, কেন্দ্রের এই আইন সংবিধানের ১৯(১)(জি) আইন লঙ্ঘন করছে। এই আইন দেশের নাগরিকদের ইচ্ছামতো পেশা বা আইনি ব্যবসা করার অধিকার দেয়। আইনজীবীর সওয়াল, কেন্দ্রের আনা আইন সেই অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।