এসআইআরের কাজের জন্য উৎসাহ ভাতা পাবেন বিএলও-রা। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধন (এসআইআর)-এর কাজে খরচ হচ্ছে মোবাইলের ডেটা। সেই নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার)-দের একাংশ। কমিশন সূত্রে খবর, এসআইআরের কাজের খরচ পাবেন বিএলও-রা। কমিশন সূত্রে খবর, বিএলও-দের উৎসাহ ভাতা (ইনসেনটিভ) বাবদ ৬০০০ টাকা দেওয়া হবে। তার মধ্যে ১০০০ টাকা ফোনের খরচ হিসাবে ধরা হয়েছে। বিহারেও এসআইআরের সময় বিএলও-দের এই টাকা দেওয়া হয়েছিল। নবান্ন সূত্রে খবর, সিইও দফতর থেকে ইতিমধ্যে রাজ্য অর্থ দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
চাকরির পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকার এসআইআর-এর কাজ করা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিএলও (বুথ লেভেল অফিসার)-দের একাংশ। তাঁদের একাংশ এই নিয়ে কলকাতায় একটি প্রশিক্ষণ শিবিরে বিক্ষোভও দেখিয়েছিলেন। এর পাশাপাশি, বিএলও-দের একাংশের অভিযোগ, এসআইআরের সময়ে ভোটারদের তথ্য পূরণ করতে হচ্ছে। এর জন্য তাঁদের মোবাইলের ডেটা খরচ হচ্ছে। অনেক বিএলও-র অভিযোগ, তাঁদের কাছে স্মার্ট ফোন ছিল না। এই কাজের জন্য তাঁদের স্মার্ট ফোন কিনতে হয়েছে। বিএলও-রা আগে প্রতি বছর ছ’হাজার টাকা সাম্মানিক পেতেন। এখন তা বৃদ্ধি করে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। বিএলও-দের একাংশের অভিযোগ, যাঁদের স্মার্ট ফোন ছিল না, তাঁদের তা কিনতে সাম্মানিকের টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ডেটা কিনতে অনেকেরই সমস্যা হচ্ছে।
কমিশন সূত্রে খবর, উৎসাহ ভাতা হিসাবে বিএলও-দের ছ’হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। তার মধ্যে মোবাইলের খরচ হিসাবে এক হাজার টাকা দেওয়া হবে। কমিশন সূত্রে খবর, বিএলও-রা প্রতি বছর ভোটার তালিকা পর্যালোচনা (রিভিশন)-র কাজে ছ’হাজার টাকা পেতেন। এসআইআরের কাজে সেই সাম্মানিকের পরিমাণ বাড়িয়ে ১২ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রতি বছর সামারি রিভিশন হত অক্টোবরের পরে। বিএলও-দের কাজ চলত প্রায় ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রায় ২ মাসের জন্য এই কাজের খরচ হিসেবে ৫০০ টাকা দেওয়া হত বিএলও-দের। এ বার এসআইআরের কাজের জন্য সেই খরচ বাড়িয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। তার মধ্যেই ধরা হয়েছে মোবাইলের খরচ। ওই এক হাজারের সঙ্গে আরও পাঁচ হাজার টাকা যোগ করে মোট ছ’ হাজার টাকা ইনসেনটিভ পাবেন বিএলও-রা। নবান্ন সূত্রে খবর, সিইও দফতর থেকে ইতিমধ্যে রাজ্য অর্থ দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।