Terrorism

মালেগাঁও বিস্ফোরণে অভিযুক্ত কর্নেলের জামিন

২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁও শহরে এক বিস্ফোরণে সাত জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন একশোরও বেশি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৭ ১২:১৪
Share:

শ্রীকান্তপ্রসাদ পুরোহিত।— ফাইল চিত্র।

মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত লেফ্টটেন্যান্ট কর্নেল শ্রীকান্তপ্রসাদ পুরোহিতকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০০৮ থেকে প্রায় ন’বছর জেলে কাটানোর পর সোমবার জামিন মিলল তাঁর। এ দিন বিচারপতি আর কে অগ্রবাল এবং এ এম সাপরে-র বেঞ্চ জামিন মঞ্জুর করে।

Advertisement

আরও পড়ুন: দায় কার? রেলের মধ্যেই চলছে দোষারোপ, পাল্টা দোষারোপ

আরও পড়ুন: রজনীকে রাজনীতিতে নামাতে ভক্তেরা রাস্তায়

Advertisement

গত সপ্তাহেই আইনজীবী হরিশ সালভে অভিযুক্ত পুরোহিতের হয়ে সওয়াল করেন। তাঁর দাবি ছিল, গত ন’বছর ধরে জেলে রয়েছেন পুরোহিত। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কোনও চার্জশিট গঠন করা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে আনা কোনও অভিযোগও প্রমাণ করতে পারেনি জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। আর তাই দ্রুত কর্নেল শ্রীকান্তের জামিন পাওয়া উচিত বলে তিনি আদালতে দাবি করেন।


বিস্ফোরণের পর মালেগাঁও। —ফাইল চিত্র।

২০০৮-এর ২৯ সেপ্টেম্বর মহারাষ্ট্রের নাসিক জেলার মালেগাঁও শহরে এক বিস্ফোরণে সাত জনের মৃত্যু হয়। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন একশোরও বেশি। তদন্তে জানা যায়, মালেগাঁও শহরে মসজিদ লাগোয়া কবরস্থানে একটি মোটরসাইকেলে দু’টি বোমা রাখা ছিল। তাতেই বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় মূল ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে উঠে আসে ‘অভিনব ভারত’ নামে একটি কট্টর হিন্দু গোষ্ঠীর নাম। অভিযোগ ছিল, ‘অভিনব ভারত’-এর হয়ে ওই বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিলেন সাধ্বী প্রজ্ঞা। সে বছরের অক্টোবরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পরের মাসে শ্রীকান্ত পুরোহিতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু, এ বছর এপ্রিলে পাঁচ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়ে যান সাধ্বী প্রজ্ঞা। তার পরই বম্বে হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন পুরোহিত। এ দিন সেই আবেদনেরই রায় দিল আদালত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন