ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত যুবককে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। —প্রতীকী চিত্র।
ধর্ষণের মামলায় অভিযুক্ত নেটপ্রভাবীকে জামিন দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২৩ বছর বয়সি ওই নেটপ্রভাবীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করেছিলেন ৪০ বছর বয়সি এক মহিলা। তবে শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ, ওই যুবকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা রুজু করা হয়েছিল। এই মামলায় শুরু থেকেই অভিযুক্তের আইনজীবী বলে আসছিলেন, ওই সম্পর্ক পরস্পরের সম্মতিতেই গড়ে উঠেছিল। অন্য দিকে, অভিযোগকারী মহিলাকে আদালতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হলেও তিনি হাজিরা দিচ্ছেন না। এ অবস্থায় অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করল আদালত।
শীর্ষ আদালতের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি প্রশান্তকুমার মিশ্রের বেঞ্চ গত মে মাসেই অভিযুক্তকে অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছিল। ওই সময় সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল, অভিযোগকারী মহিলা তো শিশু নন। এক হাতে কখনও তালি বাজে না, এমনটাও জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ৯ মাস জেলবন্দি ছিলেন। কিন্তু তার পরেও চার্জ গঠন না-হওয়ায় তাঁকে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি দিয়েছিল আদালত। বৃহস্পতিবার তাঁর জামিন মঞ্জুর করল সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ।
২০২১ সালে সমাজমাধ্যমে অভিযুক্তের সঙ্গে আলাপ হয় মহিলার। মহিলার দাবি, নিজের বস্ত্র প্রতিষ্ঠানের প্রচারের জন্য অভিযুক্তের সাহায্য নিয়েছিলেন তিনি। ওই সাহায্য করার জন্য অভিযুক্ত একটি আইফোন চেয়েছিলেন তাঁর কাছে। জম্মুর একটি দোকান থেকে মহিলা সেই আইফোনটি অভিযুক্তকে কিনে দিয়েছিলেন। কিন্তু আইফোনটি অভিযুক্ত অন্য কাউকে বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করলে উভয়ের সম্পর্কে তিক্ততা আসে। পরে অভিযুক্ত ওই মহিলার নয়ডার বাড়িতে গিয়ে ক্ষমা চান এবং ওই বস্ত্র প্রতিষ্ঠানের জন্য শুট করতে রাজি হয়ে যান। সেই মতো দিল্লির কনৌট প্লেসে গিয়েছিলেন দু’জনে। মহিলার অভিযোগ, সেখানেই মাদক মেশানো মিষ্টান্ন খাইয়ে তাঁকে ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত এবং আপত্তিকর ছবি তোলেন। পরে ভয় দেখিয়ে তাঁকে জম্মুতে নিয়ে গিয়ে অভিযুক্ত ধর্ষণ করেন বলেও পুলিশকে জানিয়েছেন মহিলা।
সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ ছিল, অভিযোগকারী মহিলা স্বেচ্ছায় অভিযুক্তের সঙ্গে ঘুরতে গিয়েছেন। তার পরেও কী ভাবে যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করা হল, তা নিয়ে দিল্লি পুলিশের উদ্দেশেও প্রশ্ন তুলেছিল আদালত।