সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করায় শোভা দে-র বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের নোটিস জারি করেছিল মহারাষ্ট্র বিধানসভা। মঙ্গলবার সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি দীপক মিশ্র ও প্রফুল্ল সি পন্থের বেঞ্চ রাজ্যের কাছে এ বিষয়ে জবাব তলবও করেছে। আগামী আট সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যসচিবকে।
বিতর্কের শুরু চলতি মাসের গোড়ায়। দেবেন্দ্র ফ়ডণবীসের সরকার ঘোষণা করে, প্রাইম টাইমে (সন্ধে ৬টা থেকে রাত ৯টার মধ্যে) মহারাষ্ট্রের মাল্টিপ্লেক্সগুলোয় মরাঠি ছবি দেখাতেই হবে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নেন লেখিকা শোভা দে। ‘‘এর পর থেকে তো মুম্বইয়ের মাল্টিপ্লেক্সে পপকর্নের জায়গায় বড়া পাও আর দহি মসালই শুধু পাওয়া যাবে’’ অথবা ‘‘দেবেন্দ্র ডিকটাটওয়ালা ফডণবীস’’— নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য পোস্ট করতে থাকেন তিনি।
শোভার এই মন্তব্য নিয়ে সঙ্গে সঙ্গেই মাঠে নামে শিবসেনা। লেখিকার বাড়ির সামনে চলে প্রতিবাদ-বিক্ষোভের পালা। পাশাপাশি, আবার বিধানসভায় তাঁর বিরুদ্ধে অধিকার ভঙ্গের প্রস্তাব আনেন দলেরই বিধায়ক প্রতাপ সরনাইক। তাঁর যুক্তি, লেখিকার কথায় মরাঠি ভাবাবেগে আঘাত লেগেছে। অপমান করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকেও। বিধায়কের প্রস্তাবের পরই স্পিকার অধিকার ভঙ্গের নোটিস জারি করেন শোভার বিরুদ্ধে।
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেন শোভা দে-র কৌঁসুলি সি এ সুন্দরম। শুনানির সময় বিচারপতিদের তিনি জানান, ‘‘নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা আছে বলে আমরা দাবি করি। শোভাও টুইটারে নিজের মত জানিয়েছেন। সরকারি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করার অর্থ অধিকার ভঙ্গ নয়।’’ বিধানসভার নির্দেশে স্থগিতাদেশ মেলায় তাই আপাতত কিছুটা স্বস্তিতে এই লেখিকা।