বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়। ফাইল চিত্র।
অনির্দিষ্টকাল অমানবিক পরিস্থিতিতে ‘সন্দেহজনক ভোটার’দের (ডি-ভোটার) ডিটেনশন শিবিরে আটকে রাখা অন্যায় বলে মনে করে সুপ্রিম কোর্ট। অসম সরকারের সমালোচনা করে এমন অভিমতই জানালেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি মদন বি লোকুর, বিচারপতি আব্দুল নাজির ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ।
অসমে ডিটেনশন শিবিরগুলির অবস্থা সরেজমিনে দেখতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন প্রাক্তন আমলা তথা সমাজকর্মী হর্ষ মান্দারকে বিশেষ পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করে। মান্দারের রিপোর্টকে গুরুত্বই দেয়নি তারা। ক্ষুব্ধ মান্দার সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থের মামলা করেন। এর পরেই বেঞ্চ ডিটেনশন শিবিরের অবস্থা ও ডি-ভোটারদের কোন পরিস্থিতিতে, কতদিনের জন্য এই শিবিরে পাঠানো হয়—তা নিয়ে রিপোর্ট চান বিচারপতিরা। গত কাল রাজ্য সেই রিপোর্ট জমা দেয়। সরকার জানায়, ডি-ভোটারদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে ডিটেনশন শিবিরে কত দিনের জন্য বন্দি রাখা হচ্ছে, তা আগে থেকে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। বিচারপতিরা জানান, কোনও পরিকল্পনা ছাড়া, সন্দেহের ভিত্তিতে কাউকে পরিবার থেকে আলাদা করে অনির্দিষ্ট কাল আটকে রাখা যায় না।