Mudumalai

ভাঙাই হবে মিঠুনের রিসর্ট, কোর্টের নির্দেশ

ওই এলাকায় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী-সহ বেশ কিছু সেলিব্রিটির রিসর্ট রয়েছে। আজকের রায়ের ফলে ভেঙে ফেলতে হবে সেখানকার আটশোরও বেশি নির্মাণ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২০ ০৩:৪৬
Share:

মিঠুন চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।

নীলগিরির হাতি করিডর নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়ই আজ বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত। ২০১১ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তার রায়ে তামিলনাড়ুর নীলগিরি জেলার মুদুমালাই জাতীয় উদ্যানের কাছে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় তৈরি সব রিসর্ট ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই সঙ্গেই তামিলনাড়ু সরকারকে হাইকোর্ট পূর্ণ ক্ষমতা দেয় যে, ওই এলাকাকে তারা হাতিদের চলাচলের জন্য (এলিফ্যান্ট করিডর) চিহ্নিত করতে পারবে। ওই এলাকায় অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী-সহ বেশ কিছু সেলিব্রিটির রিসর্ট রয়েছে। আজকের রায়ের ফলে ভেঙে ফেলতে হবে সেখানকার আটশোরও বেশি নির্মাণ।

Advertisement

নীলগিরির ওই রিসর্টগুলির জন্য এলাকার বাস্তুতন্ত্রের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে দাবি করে ১৯৯৬ সালে প্রথম বার আদালতে আর্জি জানান এ রঙ্গরাজন। তার পরে ২০০৭-’০৮ সালে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন জনস্বার্থ মামলা দায়ের করে। আবেদনকারীরা জানিয়েছিলেন, হাতি করিডরের একেবারে গা ঘেঁষে রিসর্টগুলি তৈরি হওয়ায় সেখানে জনসমাগম বাড়ছে। যার জেরে হাতিদের যাতায়াতের অসুবিধে হচ্ছে। তারা বারবার পথ পরিবর্তন করছে, যার ফলে গোটা জঙ্গল ও বন্যপ্রাণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ২০১১ সালে মাদ্রাজ হাইকোর্ট তার রায়ে রিসর্টগুলি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়। কিন্তু মিঠুন-সহ মোট ৩২ জন আবেদনকারী সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। মিঠুন তাঁর আবেদনে জানিয়েছিলেন, তাঁর রিসর্টের মাধ্যমে এলাকার বহু আদিবাসী পরিবারের জীবিকা নির্বাহ হয়। রিসর্ট মালিকদের একাংশের আরও বক্তব্য ছিল, তাঁরা আইন মেনে ওই এলাকায় রিসর্ট বানিয়েছেন।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে এই মামলা সংক্রান্ত এক শুনানি চলার সময়ে প্রধান বিচারপতি এসএ বোবডে বলেছিলেন, ‘‘ওই এলাকার বাস্তুতন্ত্র ভঙ্গুর, তাই মানুষের উচিত হাতিদের জন্য রাস্তা তৈরি করে দেওয়া।’’ আজ সুপ্রিম কোর্টের দুই সদস্যের বেঞ্চ জানিয়েছে, আবেদনকারীদের আপত্তি ও বক্তব্য শোনার জন্য তারা একটি তিন সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ দিচ্ছে। মাদ্রাজ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যার নেতৃত্বে থাকবেন। কমিটিই নির্ধারণ করবে রিসর্টগুলি অন্যত্র পুনর্নিমিত হবে কি না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন