Assam

অসমে এনআরসি-র কো-অর্ডিনেটর প্রতীক হাজেলাকে বদলির নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

বিচারপতিদের কাছে এর কারণ জানতে চান অ্যাটর্নি জেনারেল কে. কে. বেণুগোপাল। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কোনও নির্দেশই বিনা কারণে দেওয়া হয় না।’’ তবে বদলির নির্দেশে কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। অসমের বিভিন্ন মহলের কাছে এই নির্দেশ বিস্ময়কর।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০১৯ ১২:৫২
Share:

প্রতীক হাজেলাকে সত্বর মধ্যপ্রদেশে বদলির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) প্রধান প্রতীক হাজেলাকে সত্বর মধ্যপ্রদেশে বদলির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। তবে যতদিন না এই বদলি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হচ্ছে, ততদিন এনআরসি-র কোঅর্ডিনেটর হাজেলা সর্বোচ্চ মেয়াদে ডেপুটেশনে থাকবেন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চ শুক্রবার এই নির্দেশ দেয়।

Advertisement

বিচারপতিদের কাছে এর কারণ জানতে চান অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল। প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘কোনও নির্দেশই বিনা কারণে দেওয়া হয় না।’’ তবে বদলির নির্দেশে কোনও কারণ দর্শানো হয়নি। অসমের বিভিন্ন মহলের কাছে এই নির্দেশ বিস্ময়কর।

প্রতীক হাজেলা (৪৮) ১৯৯৫ ব্যাচের অসম-মেঘালয় ক্যাডারের আইএএস আধিকারিক। অসমের নাগরিকপঞ্জি সংশোধন করার জন্য তদারকির দায়িত্ব ছিল তাঁর উপরেই। এই জটিল প্রক্রিয়াকে ঘিরে ইতিমধ্যেই জাতি ও ভাষাগত বিভাজনের বির্তকে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। মনে করা হয়েছিল, হাজেলার মতো একজন দক্ষ আমলা এই জটিল পরিস্থিতি সামলাতে পারবেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যে রাজ্যে ডিটেনশন ক্যাম্প এনআরসির আগাম প্রস্তুতি, বললেন শাহ, তীব্র প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের

৫০ হাজারের বেশি আধিকারিক ছিলেন হাজেলার নেতৃত্বাধীন দলে। তবে আইআইটি-র এই প্রাক্তনীকে রাজনৈতিক দল-সহ বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। অভিযোগ, অসমের সংশোধিত নাগরিক-তালিকায় ভুল রয়ে গিয়েছে। সমালোচকদের মধ্যে ছিলেন বিজেপি-র নেতারাও। তাঁদের অভিযোগ, সংশোধিত তালিকায় বহু হিন্দুর নাম নেই, যাঁরা নাকি অসমের প্রকৃত নাগরিক।

আরও পড়ুন: বাবরি ধ্বংসের মামলা ঢিমেতালে

গত মাসে হাজেলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এক মুসলিম সংগঠন। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে ওই সংগঠনের দাবি, অসংখ্য প্রকৃত ভারতবাসীকে তালিকায় রাখেননি প্রতীক হাজেলা।

আরও পড়ুন: ‘ব্রিটিশকে আর কত দিন দোষ দেওয়া হবে’, নতুন ইতিহাস লেখার ডাক অমিত শাহর

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন