Supreme Court

২৪ সপ্তাহ পরও ধর্ষিতাকে গর্ভপাতে সায় দিল শীর্ষ আদালত

ধর্ষিতার প্রাণ বাঁচাতে ২৪ সপ্তাহ পরেও গর্ভপাতে সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০ সপ্তাহ পর এ দেশে গর্ভপাত আইনসিদ্ধ নয়। কিন্তু, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত গ্রহণের পর সোমবার এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে আদালত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৫ জুলাই ২০১৬ ১৯:১৯
Share:

ধর্ষিতার প্রাণ বাঁচাতে ২৪ সপ্তাহ পরেও গর্ভপাতে সায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। ২০ সপ্তাহ পর এ দেশে গর্ভপাত আইনসিদ্ধ নয়। কিন্তু, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত গ্রহণের পর সোমবার এই ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে আদালত। এ দিন রায়দানের আগে অ্যাটর্নি জেনারেল মুকুল রোহতাগির পরামর্শ নেয় ডিভিশন বেঞ্চ। অ্যাটর্নি জেনারেল জানিয়েছেন, মেডিক্যাল টার্মিনেশন অব প্রেগন্যান্সি অ্যাক্ট-১৯৭১ অনুযায়ী, অস্বাভাবিক ভ্রূণের জন্য অন্তঃসত্ত্বার প্রাণসংশয় হলে ২৪ সপ্তাহ পরেও গর্ভপাত করানো যায়।

Advertisement

মুম্বইয়ের হাসপাতালে বেশ কিছু দিন ধরেই চিকিৎসাধীন ছিলেন ওই মহিলা। অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করে তাঁর প্রাক্তন প্রেমিক। ‘২০ সপ্তাহ’র আইনি বাধা থাকায় তাঁর গর্ভপাত করাতে কোনও হাসপাতালই রাজি ছিল না। যার ফলে শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন তিনি। শেষমেশ মেডিক্যাল টেস্টে ‘অস্বাভাবিক’ ভ্রূণের কথা জানতে পেরে গর্ভপাতের জন্য সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। নিজের আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, ২০ সপ্তাহের আগে গর্ভপাতের আইনটি কেবলমাত্র অযৌক্তিক বা বৈষম্যমূলকই নয়, তা নাগরিকের বেঁচে থাকার অধিকারের সীমাও লঙ্ঘন করে।

এ দিন বিচারপতি জে এস খেহার ও বিচারপতি অরুণ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ধর্ষিতার গর্ভের ‘অস্বাভাবিক’ ভ্রূণের ফলে ভবিষ্যতে মা ও সন্তান উভয়েরই প্রাণসংশয় হতে পারে। এ নিয়ে রিপোর্ট দিতে গত শুক্রবার সাত সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়। রিপোর্টে দেখা যায়, ওই ভ্রূণে অতিমাত্রায় অস্বাভাবিকতা রয়েছে। তার ফলে মস্তিষ্ক ও খুলির একাংশ ছাড়াই ওই শিশুর জন্মাতে পারে। এই রিপোর্টের ফলেই ধর্ষিতার পক্ষে রায় দেয় আদালত।

Advertisement

আরও পড়ুন

দলিত নির্যাতনের প্রশ্নে ঘরে-বাইরে চাপে মোদী

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন