মামলার সাক্ষীকে ‘বাঘের’ মুখ থেকে বাঁচানোর ব্যবস্থা করল সুপ্রিম কোর্ট। দাগি কিংবা প্রভাবশালী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করতে গিয়ে সাক্ষী যাতে বিপদে না পড়েন, সে দিকে তাকিয়েই বুধবার শীর্ষ আদালত কেন্দ্রের পেশ করা খসড়া ‘সাক্ষী সুরক্ষা প্রকল্প’ অনুমোদন করেছে। সংসদে এই সংক্রান্ত আইন পাশ হওয়া পর্যন্ত এই খসড়াকেই কার্যকর করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছেশীর্ষ আদালত।
স্বঘোষিত ধর্মগুরু তথা ধর্ষণ মামলার আসামি আসারাম বাপুর বিরুদ্ধে সাক্ষী দিয়েছেন, এমন ব্যক্তিদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা সুপ্রিম কোর্টের সামনে এসেছিল। গত ১৯ নভেম্বর সেই মামলার শুনানির সময়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল বলেন, সাক্ষী সুরক্ষার খসড়া ইতিমধ্যেই তৈরি হয়েছে। যত ক্ষণ না তা আইনে পরিণত হচ্ছে, তত ক্ষণ ওই খসড়াই কার্যকর করতে রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিক কোর্ট। কেন্দ্র জানায়, রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলেই খসড়া স্থির করা হয়েছে। এ দিন বিচারপতি এ কে সিক্রির বেঞ্চ জানিয়েছে, কেন্দ্রের খসড়ায় কিছু বদলও এনেছে তারা।
জীবনের ঝুঁকির প্রেক্ষিতে খসড়ায় তিন ধরনের সাক্ষীর কথা বলা হয়েছে। তবে হামলা আটকাতে নিরাপত্তার ব্যবস্থা হলেও তা অনির্দিষ্ট কালের জন্য করা হবে না। কত সময়ের জন্য সাক্ষীদের নিরাপত্তা থাকবে, তা নিয়মিত পর্যালোচনা করে ঠিক করা হবে। তদন্ত বা বিচারপ্রক্রিয়া চলার সময়ে সময়ে অভিযুক্ত ও সাক্ষী যাতে মুখোমুখি চলে না আসেন, তা-ও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।