Misuse of Ration Card

রেশন কার্ড: দরিদ্র পরিবারের প্রাপ্য সুবিধা কি অযোগ্যরাও ভোগ করছেন? স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় উদ্বেগ সুপ্রিম কোর্টের

দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারগুলির জন্য রেশনের সুবিধা কি অযোগ্যরাও পেয়ে যাচ্ছেন? এক স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় রেশন কার্ডের অপব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে এই উদ্বেগ প্রকাশ করল শীর্ষ আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২৫ ১৯:১০
Share:

রেশন কার্ডের অপব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

রেশন কার্ডের অপব্যবহারের সম্ভাবনা নিয়ে বুধবার উদ্বেগ প্রকাশ করল সুপ্রিম কোর্ট। রেশন কার্ডের মাধ্যমে দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবারগুলির কাছে প্রয়োজনীয় রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। কিন্তু এই ভর্তুকিযুক্ত অত্যাবশ্যকীয় পণ্য অযোগ্যেরাও পেয়ে যাচ্ছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলল শীর্ষ আদালত। এর ফলে অনেক ক্ষেত্রেই দারিদ্রসীমার নীচে থাকা পরিবার, যাঁদের কাছে এই রেশন সামগ্রী পৌঁছোনো প্রয়োজন, তা পৌঁছোচ্ছে না বলে মনে করছে আদালত।

Advertisement

করোনা অতিমারির সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যা নিয়ে একটি স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয় শীর্ষ আদালতে। বুধবার ওই মামলাটির শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চে। শুনানিতে এক আইনজীবী জানান, অনেক পরিযায়ী শ্রমিক রেশনের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তা পাচ্ছেন না। আইনজীবীর বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকারের ই-শ্রম পোর্টালে (অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত শ্রমিকদের তথ্য নথিভুক্তিকরণের পোর্টাল) প্রায় ৩০ কোটি পরিযায়ী শ্রমিকের নাম রয়েছে। এর মধ্যে আট কোটিরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিকের রেশন কার্ড নেই বলে অভিযোগ আইনজীবীর।

রেশন কার্ডের অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্ট। দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, অনেক ক্ষেত্রে রাজ্যগুলি দাবি করে তারা ‘এত সংখ্যক রেশন কার্ড দিয়েছে’। এ সব করে তারা বিষয়টিকে বড় করে দেখাতে চায়। কিন্তু প্রকৃত অর্থে যাঁদের রেশন সামগ্রীর প্রয়োজন, তাঁরা কতটা উপকৃত হচ্ছেন সেই নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে আদালত।

Advertisement

বিচারপতি কান্তের পর্যবেক্ষণ, “দারিদ্রসীমার নীচে থাকা প্রকৃত পরিবারগুলির জন্য বরাদ্দ সুবিধা কি অযোগ্যদের পকেটেও পৌঁছে যায়? রেশন কার্ড এখন ‘জনপ্রিয়তা (অর্জনের) কার্ড’ হয়ে উঠেছে। রাজ্যগুলি কেবল বলে ‘আমরা এতগুলি (রেশন কার্ড) দিয়েছি’, ইত্যাদি ইত্যাদি…। যখন তারা উন্নয়ন দেখাতে চায়, তারা বলবে ‘মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে’। আবার যখন দারিদ্রসীমার নীচে থাকা মানুষের বিষয়ে কথা হয়, তখন তারা বলে ‘৭৫ শতাংশ দারিদ্রসীমার নীচে’। এগুলিকে কী ভাবে খাপ খাওয়ানো যায়? এগুলি পুরোপুরি বিপরীত। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যেন যোগ্যদের কাছে এর (রেশনের) সুবিধা পৌঁছোয়।”

পরিযায়ী শ্রমিকদের রেশন কার্ড না থাকার বিষয়টি একটি প্রকৃত সমস্যা বলে মনে করছে আদালত। রেশন পাওয়ার যোগ্য দরিদ্র মানুষেরা যাতে ঠিকমতো রেশন সামগ্রী পান, তার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রেশন কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে যাতে কোনও রাজনীতি করা না-হয়, সে বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছে আদালত। বুধবার কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি। তিনি জানান, জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় ৮১ কোটি ৩৫ লক্ষ মানুষ সরকারি সুবিধা পান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement