Delhi High Court Judge Cash Row

দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন সেই বিচারপতির বিরুদ্ধে এফআইআর চেয়ে মামলা, শুনতে চাইল না সুপ্রিম কোর্ট

দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে এফআইআরের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছে। বুধবার সেই মামলা শুনতে চাইল না শীর্ষ আদালত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৫ ১৬:১৬
Share:

দিল্লির হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বর্মা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

দিল্লি হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি যশবন্ত বর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়েছিল। সেই মামলা শুনতে চাইল না শীর্ষ আদালত। এই সংক্রান্ত আবেদন নিয়ে আগে উপযুক্ত সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে মামলাকারীকে। সেখানে কাজ না-হলে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবে।

Advertisement

কয়েক মাস আগে দোলের দিন দিল্লি হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি বর্মার বাংলো থেকে প্রচুর নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই বাংলোতে আগুন লেগে যাওয়ার দমকলকে খবর দেওয়া হয়। দমকলের সেই কর্মীরাই নগদ টাকা দেখতে পান এবং পুলিশকে খবর দেন। এই ঘটনার পর বিচারপতি বর্মার ভূমিকা নিয়ে বিস্তর বিতর্ক হয়েছে। ওই বিচারপতিকে ইলাহাবাদ হাই কোর্টে সরিয়ে দেওয়া হয়। অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটিও গড়া হয়েছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে পাঠিয়ে দেন।

বুধবার বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের এবং নির্দিষ্ট আইনি পদক্ষেপ চেয়ে মামলা হয় শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঞার ডিভিশন বেঞ্চে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, গত ৮ মে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। দেশের প্রধান বিচারপতি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বিচারপতি বর্মার বক্তব্য-সহ পাঠিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির কাছে। ফলে এই মামলায় কোনও আইনি পদক্ষেপ চাইলে আগে সাংবিধানিক পদ্ধতি মেনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানাতে হবে। বিচারপতির বক্তব্য, ‘‘আমরা এই মামলাটি শুনছি না। এই পর্যায়ে অন্য কোনও আবেদন শোনার প্রয়োজনীয়তা নেই।’’

Advertisement

বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন আইনজীবী ম্যাথিউস নেদুমপারা-সহ চার জন। তাঁদের বক্তব্য, বিচারপতি বর্মার বিরুদ্ধে যে সমস্ত অভিযোগ রয়েছে, অভ্যন্তরীণ কমিটির তদন্তে প্রাথমিক ভাবে সেগুলিকে সত্য বলেই মনে করা হচ্ছে। নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পুলিশি তদন্তের বিকল্প হতে পারে না অভ্যন্তরীণ কোনও তদন্ত। আদালত জানিয়েছে, নির্দিষ্ট আইন মেনেই এগোতে হবে। যদি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ না-করে, তবে মামলাকারীরা শীর্ষ আদালতে ফিরতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement