Golden Dome

ইজ়রায়েলের ‘লৌহ কবচ’-এর থেকেও শক্তিশালী, আমেরিকার আকাশে ‘সোনালি কবচ’-এর পরিকল্পনা ট্রাম্পের, খরচ কত?

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে ট্রাম্পের মুখে বার বার এই নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা শোনা গিয়েছিল। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প জানান, প্রতিশ্রুতি পালনের সময় এসেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ মে ২০২৫ ১৫:৩৭
Share:

আমেরিকার আকাশে ‘সোনালি কবচ’-এর পরিকল্পনা ডোনাল্ড ট্রাম্পের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

চার বছরের মধ্যেই আমেরিকার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) জুড়বে ‘সোনালি কবচ’ (গোল্ডেন ডোম)! আমেরিকাকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে বাঁচাতে এই নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে আমেরিকার কোষাগার থেকে দিতে হবে প্রায় ১৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৫ লক্ষ কোটি টাকা)। প্রাথমিক ভাবে, এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে আড়াই হাজার কোটি ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় ২ লক্ষ ১৪ হাজার কোটির বেশি) দেওয়া হবে। ট্রাম্পের অনুমান, ২০২৯ সালের মধ্যেই আমেরিকার হাতে চলে আসবে এই নয়া আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা।

Advertisement

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারেই ট্রাম্পের মুখে বার বার এই নতুন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা শোনা গিয়েছিল। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে হোয়াইট হাউস থেকে ট্রাম্প বলেন, ‘‘আমি আমেরিকাবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম একটি অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ঢাল তৈরি করব। আজ সেই প্রতিশ্রুতি সত্যি হতে চলেছে। গোল্ডেন ডোম তৈরি হলে, তা আমেরিকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হবে।’’ আমেরিকার এই প্রচেষ্টার সঙ্গে যুক্ত হতে পারে কানাডাও! তবে সে দেশের তরফে এখনই সরকারি ভাবে কিছু জানানো হয়নি।

‘গোল্ডেন ডোম’ তৈরিতে ট্রাম্প যে খরচের কথা বলছেন, তার থেকেও অনেক বেশি খরচ হতে পারে, এমনই মনে করছে মার্কিন আইনসভার বাজেট অফিস। নয়া এই অস্ত্র বিশ্বের যে কোনও প্রান্ত থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করতে সক্ষম বলেই দাবি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ‘গোল্ডেন ডোম’ প্রকল্পের ঘোষণার সময় ট্রাম্পের সঙ্গেই ছিলেন আমেরিকার প্রতিরক্ষার দফতরের সচিব পিট হেগসেথ। তিনি বলেন, ‘‘নয়া এই ব্যবস্থার লক্ষ্যই হল ক্রুজ, ব্যালেস্টিক, হাইপারসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করা।’’

Advertisement

প্রেসিডেন্টপদে শপথগ্রহণের পর চলতি বছরের ৪ মার্চ মার্কিন আইনসভায় ভাষণ দেন ট্রাম্প। সেখানেই প্রথম বার ‘গোল্ডেন ডোম’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার কথা বলতে শোনা যায় তাঁকে। বিশ্বে যে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাগুলির রয়েছে তার মধ্যে ইজ়রায়েলের ‘আয়রন ডোম’-এর যথেষ্ট খ্যাতি রয়েছে। গত দেড় বছর ধরে চলা পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধে জাত চিনিয়েছে ইহুদিদের এয়ার ডিফেন্স। ট্রাম্পের দাবি, ‘গোল্ডেন ডোম’ ইজ়রায়েলি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার থেকে অনেক বেশি উন্নত হতে চলেছে। এ বছরের ২৭ জানুয়ারি প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ‘এগ্‌জ়িকিউটিভ’ নির্দেশে সই করেন ট্রাম্প। সেখানেই এই নয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার উল্লেখ ছিল।

‘গোল্ডন ডোম’-এর মাধ্যমে মহাকাশভিত্তিক ইনফ্রারেড লেজ়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে আমেরিকার। এর সাহায্যে হাইপারসনিক, ব্যালেস্টিক এবং ক্রুজ়— তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করতে পারবে মার্কিন ফৌজ়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement