—ফাইল চিত্র।
ধর্ষণের শিকার তো পুরুষ কিংবা রূপান্তরকামীও হতে পারেন! কিন্তু সেই ‘অপরাধ’ বিবেচনায় আইনে কোনও সংস্থান নেই বলে দাবি করে দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারার সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। মামলাকারীর আর্জি ছিল— লিঙ্গ-নির্বিশেষে ধর্ষণকে অপরাধ বলে গণ্য করা হোক। কিন্তু সোমবার সেই আবেদন শুনতে রাজিই হল না কোর্ট।
আদালত জানিয়েছে, ‘‘বিষয়টা সংসদের আওতায় পড়ে। তাই এখনই আমরা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’’ আইনের সীমাবদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কলকাতার পুরুষ-অধিকার কর্মী নন্দিনী ভট্টাচার্যও। তাঁর কথায়, ‘‘সংসদে নতুন আইন পাশ হোক। ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন কিংবা নিগ্রহের শিকার হতে হয় পুরুষদেরও। তাই অপরাধ প্রমাণ হলে, শাস্তি হোক মহিলাদেরও।’’
নাবালক কিংবা নাবালিকা ধর্ষণের শিকার হলে, একই পকসো আইনে বিচারের সংস্থান আছে। কিন্তু সাবালকেরাও যে ধর্ষণ বা নিগ্রহের শিকার হতে পারেন, তা নিয়ে ৩৭৫ ধারায় কিছু বলা নেই। এটা মেনেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রবীণ আইনজীবী কল্লোল মণ্ডল বললেন, ‘‘সমাজে অপরাধের তালিকা ও ধরন বদলাচ্ছে। তাই আইনে বদল আনার প্রয়োজন একটা আছেই। প্রয়োজনে সরকারকেই হস্তক্ষেপ করতে হবে।’’