নারায়ণ আপ্টের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন

আপ্টের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০১৭ ০৩:৫৬
Share:

মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর হত্যায় মূল ঘাতক নাথুরাম গডসের সঙ্গে ফাঁসি হয়েছিল তাঁরও। নারায়ণ দত্তাত্রেয় আপ্টে। ১৯৪৯ সালের ১৫ নভেম্বরের সেই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন তৈরি হয়েছে ৬৮ বছর পরে।

Advertisement

আপ্টের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছে। তাতে বলা হয়েছে, গাঁধী হত্যার তদন্ত মামলা ফের খতিয়ে দেখা হোক। গোটা ঘটনার ষড়যন্ত্র প্রকাশ্যে আনতে ১৯৬৬ সালে বিচারপতি জে এল কপূরের নেতৃত্বে তৈরি হয়েছিল তদন্ত কমিশন। সেই কমিশন জানিয়েছিল, আপ্টে ভারতীয় বায়ুসেনার সদস্য ছিলেন।

যদিও সুপ্রিম কোর্টে আবেদনকারী পঙ্কজ ফডণীসকে ২০১৬ সালের ৭ জানুয়ারি তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পর্রীকর জানিয়েছিলেন, ‘নারায়ণ দত্তাত্রেয় আপ্টে বায়ুসেনা অফিসার ছিলেন, এমন কোনও তথ্য কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি।’ মুম্বইয়ের ‘অভিনব ভারত’-এর সদস্য এবং গবেষক ফডণীস মনে করেন, ‘‘গাঁধী হত্যার তদন্ত ধামাচাপা দেওয়া হয়েছিল। ইতিহাসে এমন ধামাচাপা দেওয়ার ঘটনা কমই আছে।’’ তাই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। পর্রীকরের দেওয়া তথ্যসমৃদ্ধ চিঠিও শীর্ষ আদালতের আবেদনপত্রের সঙ্গে জুড়ে দিয়েছিলেন ফডণীস।

Advertisement

আবেদনে তিনি বলেছেন, পর্রীকরের দেওয়া তথ্য থেকেই স্পষ্ট যে ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি জাতির জনকের হত্যাকাণ্ডে বিদেশি শক্তির জড়িত থাকা সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। ফ়ডণীসের মতে, ‘‘আপ্টে যে ব্রিটিশ বাহিনী ১৩৬–এর সদস্য ছিলেন তা বিশ্বাস করার মতো যথেষ্ট যুক্তিগ্রাহ্য কারণ আছে। আর তাই গোটা ঘটনার পুনর্তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’’

আইনজীবী অমরেন্দ্র শরণকে এ ব্যাপারে আদালত-বন্ধু হিসেবে নিয়োগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তিনি এই সংক্রান্ত আবেদন ও তথ্যাদি খতিয়ে দেখবেন। গডসে এবং আপ্টেকে অম্বালা জেলে ফাঁসি দেওয়া হয় পূর্ব পঞ্জাব হাইকোর্টের নির্দেশে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন